স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ সহায়-সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা ১০ হাজার টাকা ও দুই ঈদে বোনাস চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সবকিছু শেখ হাসিনা সরকার করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছে এবং থাকাবে বলে ঘোষণা দেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম (এমপি)। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযোদ্ধা নামীয় বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে তাজুল ইসলাম এমপির নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। ঢাকা মহানগর ইউনিটের নির্বাচিত কমান্ডার আলহাজ আমির হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির মহাসচিব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সমন্বয় কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ। এবি তাজুল ইসলাম এমপি বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, মন্ত্রী থাকাকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য ৩১টি প্রকল্প গ্রহণ করেছিলাম। যা আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ নির্মাণ, শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক, বীরবিক্রমের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা বারবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। শোভাযাত্রা ও পুষ্পার্ঘ অর্পণে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল হাই, ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুল হক, সমন্বয় কমিটির মহাসচিব অর্থ আলহাজ শরীফ উদ্দিন, মহাসচিব (কল্যাণ) আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ পারভেজ জুয়েল, আব্দুল লতিফ ও নাজির আহমেদ চৌধুরী মাকসুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তেজগাঁর সাবেক কমান্ডার আবুল খায়ের, কমান্ডার বাশার ও খান সাহেব, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সভাপতি হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সমন্বয় কমিটির ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আলহাজ মোঃ রহমতুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আলহাজ মনির হোসেন মোল্লা প্রমুখ।