‘ভেবেছিলাম মুক্ত জীবনে ফিরে যাব-’

সংসদ রিপোর্টার ॥ সুযোগ পেলেই পুরনো ঠিকানায় আসেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সাতবারের সংসদ সদস্য, দুবারের স্পীকার, একবারের ডেপুটি স্পীকার ও বিরোধী দলের উপনেতার দায়িত্ব পালন করা সংসদ অন্তপ্রাণ মানুষটিকে সংসদই টানে বার বার। সময় ও সুযোগ পেলেই সংসদে যেমন আসেন, তেমনি আসেন সংসদে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর এসেই স্বভাবসুলভ আড্ডার আমেজে জানালেন দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরের মধুর আক্ষেপটিও। বললেন, ভেবেছিলাম ২৩ এপ্রিলের পর আবার মুক্তজীবনে ফিরে যাব। কিন্তু সেটা তো আর হলো না। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বর্তমানে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছে। মাগরিবের বিরতির আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সরাসরি সাংবাদিক লাউঞ্জে এসে সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিলেন। ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে করমর্দন করে কুশলাদি জানতে চান। সদা হাস্যোজ্বল ও হাস্যরসে পটু রাষ্ট্রপতি সবার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য গল্পে মেতে ওঠেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নিজের ব্যক্তি জীবনের কথাও তুলে ধরলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আলাপচারিতায় উঠে আসে রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনী লেখার বিষয়টি। কতদূর লেখা হলো জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বলেন, আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছি, অনেকদূর এগিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রীয় কাজের চাপে আত্মজীবনী লেখার কাজে খুব বেশি সময় দিতে না পারার কথাও তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্রুতই আত্মজীবনী লেখা শেষ করে ফেলব। পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ভেবেছিলাম ২৩ এপ্রিলের (রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদের শেষ দিন) পর আবার মুক্তজীবনে ফিরে যাব। কিন্তু সেটা তো আর হলো না। এ সময় রাষ্ট্রপতি সাংবাদিক লাউঞ্জের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতেও ভোলেননি। সাংবাদিক লাউঞ্জে আসার পর বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সভাপতি ও জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে মোঃ আবদুল হামিদকে অভিনন্দনও জানানো হয়। এ সময় পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আগামী ২৩ এপ্রিলের পর দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। হাস্যরসের মাধ্যমে ঋতুরাজ বসন্ত নিয়েও স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি। প্রায় ৩০ মিনিট সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রাণখোলা আড্ডা দিয়ে ফিরে যান সংসদে তার রাষ্ট্রপতির অফিসে।