ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফারমার্স ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারি ॥ সব অভিযোগ নাকচ করলেন মখা আলমগীর

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ফারমার্স ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারি ॥ সব অভিযোগ নাকচ করলেন মখা আলমগীর

সংসদ রিপোর্টার ॥ ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারী দলের সিনিয়র নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি এ বিষয়ে সংসদের স্পীকারের কাছে প্রটেকশন দাবি করে বলেন, তিনটি পত্রিকা ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমার বিরুদ্ধে কতিপয় ঘৃণিত, অসত্য তথ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতির সামনে প্রকাশ করেছে। যে অভিযোগ এসেছে তা সম্পূর্ণ কল্পনাভিত্তিক ও অনুমাননির্ভর। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নাকি ঋণ বিতরণের আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছি। এতবড় অসত্য কথার সম্মুখীন আমার ৭৭ বছরে কখনও হতে হয়নি। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমি শিল্প ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় ছিলাম, কৃষি ব্যাংকের শিল্পঋণ সংস্থার সভাপতি ছিলাম, জেদ্দায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ছিলাম। আমার কার্যক্রম সম্পর্কে এভাবে কোন উদাহরণ, কোন অপবাদ কেউ কোন দিন উপস্থাপন করতে পারেনি। সংসদে দাঁড়িয়ে এ সময় তিনি নিজের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমার ব্যাংকের হিসেবের পুরো অংশ নিয়ে এসেছি। এখানে কেউ কী প্রমাণ করতে পারবেন যে, কোন ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে আমার এখানে অর্থ ঢুকেছে? পত্রিকাগুলো রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ১৭ জুলাই ১৩ কোটি টাকা গ্রাহকের হিসাব থেকে আমার হিসেবে এসেছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ব্যাংক হিসেবে এখানে আছে, গত ১৭ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭ বা ১০ দিনে আমার হিসেবে এ ধরনের কোন অর্থ জমা হয়নি। তাই আমি মনে করি এই ধরনের অপবাদ সমাজে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রতিকূল। আর প্রতিকূল বর্জন করার জন্য দূরে সরিয়ে সুসংহত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য স্পীকারের কাছে প্রতিবিক্ষণ চাইব। ড. আলমগীর আরও বলেন, চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় অনুমোদনহীন ঋণ দেয়া হয়েছে বলে যা প্রচার করা হয়েছে এই অভিযোগও অস্বীকার করছি। কেননা আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন অনুমোদন ছাড়া কোন ঋণ প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পর্যবেক্ষক তারাও এটা অবলোকন করেছেন। এভাবে অনুমানভিত্তিক প্রচার আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা রক্ষা করার প্রতিকূল। তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংকে যে পরিমাণ ঋণ অনুমোদন হয়েছে তার চাইতে বেশি ঋণ দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগও আনা হয়েছে রিপোর্টে। আমি এই অভিযোগও অস্বীকার করছি। কারণ টাকা দেয়া ও সঞ্চালন করার এখতিয়ার ব্যাংক কর্মকতাদের, ম্যানেজার এবং অন্যদের। অনুমোদনের বাইরের কোন ঋণ দিয়ে থাকলে সেটা তাদের দায়িত্ব। তবে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমার জানামতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ব্যাংকটিতে সবক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি বলে যে অভিযোগ এসেছে সে সম্পর্কে সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সকল ক্ষেত্রে যথাযোগ্য কর্মকর্তা নিয়েছি, তাই হয়েছে। শুধু তাই না বেসরকারী ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র ফারমার্স ব্যাংকেই সবচাইতে বেশি মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরিদের নিয়োগ দিয়েছি। এটা ইচ্ছা করেই করেছি। এতে কেউ যদি মনে করে ব্যাংকের স্বার্থ লঙ্ঘিত করেছে, তারা সত্য ও সৎ কথা বলেননি।
×