ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘ মহাসচিবের শ্রদ্ধা

আসমা জাহাঙ্গীর সাহসিকতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আসমা জাহাঙ্গীর সাহসিকতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস পাকিস্তানের বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে সকলের জন্য ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি তার সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।- খবর এএফপি গত সপ্তাহান্তে ৬৬ বছর বয়স্ক এই মানবাধিকারকর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়াও তিনি ইরানে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ দূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত রবিবার আসমা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হলে জাতিসংঘ প্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক মহান ব্যক্তিত্বকে হারালাম। তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে নিজ দেশের যেমন সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন, তেমনি তিনি বহির্বিশ্বের সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিলেন সোচ্চার। আসমা ছিলেন তীক্ষ্ম ধীশক্তিসম্পন্ন, সাহসী, নীতিবান ও দয়ালু। শুধু জাতিসংঘ প্রধান নন বিশ্বের অনেক বুদ্ধিজীবী ছিলেন আসমার গুণমুগ্ধ ভক্ত। তার মৃত্যুতে পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে সেদেশের নৈতিক কম্পাস বা দিক নির্দেশক বলে অভিহিত করা হয়। সোমবার প্রকাশিত পাকিস্তানের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোতে একজন নেতৃস্থানীয় মানবাধিকারকর্মী হিসেবে তার অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। দৈনিক ডন তার সম্পাদকীয়তে ‘ফিয়ারলেস আসমা’ নামের নিবন্ধে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, আসমার মতো এক নাগরিকের জন্য পাকিস্তান গর্ববোধ করতে পারে- অনেকেই কেবল তার সমকক্ষ হওয়ার দুরাশাই পোষণ করবে। দি নিউজ নামে সেদেশের অপর একটি ইংরেজী দৈনিক লিখেছে, ‘দেশের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে বিপুল সাহস নিয়ে কথা বলার শক্তি কেবল আসমারই ছিল- সারাজীবন তিনি পাকিস্তানের বিবেক হিসেবে কাজ করে গেছেন। কেবল মৃত্যুই তার কণ্ঠ রুদ্ধ করে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। এদেশ (পাকিস্তান) যত সাহসী সন্তানের জন্ম দিয়েছে তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী।’ উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে, মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আসমা জাহাঙ্গীরকে বহুবার কারাবরণ, নির্যাতন ও জীবন নাশের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল।
×