ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরীর থেকেই আসবে বিদ্যুত

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শরীর থেকেই আসবে বিদ্যুত

পরিধেয় ডিভাইসের প্রয়োজনীয় বিদ্যুত আসবে ব্যবহারকারীর শরীর থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি এ্যাট বাফেলো, নিউইয়র্ক আর চাইনিজ এ্যাকাডেমি অব সায়েন্স (সিএএস)-এর গবেষকরা একটি ধাতব ট্যাব বানিয়েছেন। এই ট্যাব মানব শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ব্যবহারকারীর আঙ্গুল ভাঁজ করা বা অন্যান্য নড়াচড়ায় এটি বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ট্যাবটি একটি ট্রাইবোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর। এটি যান্ত্রিক শক্তিকে ইলেকট্রনিক্যাল ডিভাইসগুলোর জন্য বিদ্যুত শক্তিতে পরিণত করতে পারে। ইউনিভার্সিটি এ্যাট বাফেলোর সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা প্রধান কিয়াওকিয়াং গ্যান বলেন, ‘মানবশরীর শক্তির একটি বড় উৎস। কেন আমরা একে আমাদের নিজেদের শক্তি তৈরিতে ব্যবহার করব না ?’ ন্যানো এনার্জি জার্নালে এই ট্যাবের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। এই ট্যাবে সোনার দুটি পাতলা স্তর আছে। এই দুটি স্তরের মাঝে রাখা আছে পলিডাইমিথাইল-জিলোক্স্যান। একে পিডিএমএস-ও বলা হয়, এটি হচ্ছে কন্টাক্ট লেন্স বা অন্যান্য পণ্যে ব্যবহৃত সিলিকনভিত্তিক একটি পলিমার। একটি আঙ্গুল যদি ভাঁজ হয় তখন গতিটি সোনার স্তর আর পিডিএমএস-এর মধ্যে ঘর্ষণ তৈরি করে। এতে যত বেশি ঘর্ষণ হবে তত বেশি বিদ্যুত উৎপন্ন হবে। দেড় সেন্টিমিটার লম্বা ও এক সেন্টিমিটার প্রস্থের এই ট্যাব সর্বোচ্চ ১২৪ ভোল্টের ১০ মাইক্রোএ্যাম্প বিদ্যুত প্রবাহ করতে পারবে। বিদ্যুত সরবরাহের সর্বোচ্চ ঘনত্ব হবে প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ০.২২ মিলিওয়াট। এটি একাধারে ৪৮টি এলইডি লাইট জ্বালাতে সক্ষম। বিদ্যুত প্রবাহ বাড়াতে গবেষক দলটি সোনার বড় টুকরা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। সেই সঙ্গে এই ট্যাব থেকে উৎপন্ন বিদ্যুত সংরক্ষণের জন্য একটি বহনযোগ্য ব্যাটারি বানানোর চেষ্টাও করবেন তারা। -আইএএনএস
×