ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. শেখ বাতেনের প্রতি অবিচারের প্রতিকার চেয়ে ১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ড. শেখ বাতেনের প্রতি অবিচারের প্রতিকার চেয়ে ১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. শেখ আবদুল বাতেন-এর প্রতি কৃত-অবিচারের প্রতিকার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক। লেখক ও প্রকাশক আনোয়ার ফরিদী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সমাজবিজ্ঞানের একজন বিশিষ্ট গবেষক আবদুল বাতেন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্র প্রশাসনের অনাচারের এক ভয়ানক নির্মমতার শিকারে পরিণত হয়েছে’। বিবৃতিতে বলা হয়, তাকে ন্যায্য বেতন-ভাতা ও যাবতীয় সরকারী প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে তাকে নিত্যদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা (পিএইচডি) গ্রহণ শেষে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর তিনি চাকরিতে যোগ দিতে চাইলে তাকে যোগদানে বাধা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালের চার অক্টোবর তাঁর যোগদানপত্র গ্রহণ করে। কিন্তু চক্রান্ত করে তার যোগদানের সেই রেকর্ড হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। তারপর একের পর এক বাধার কারণে তিনি আর চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি। বস্তুত মুক্তিযোদ্ধা শেখ বাতেনকে কাজে যোগদানে বাধা দেয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী বিএনপি জামায়াত অপশক্তির সরকার ও তার সহযোগী আমলারা। সর্বশেষ আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৬ সালের মে মাসে দেয়া প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়-‘তার চাকরিতে যোগদান করতে না দেয়া আইনের লঙ্ঘন’। এরপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তার চাকরির বিষয়টি অনিষ্পন্ন অবস্থায় রাখা হয়। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় তার পরিবারে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তার চাকরির ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ আউয়ালের কনিষ্ঠ সহোদর মুক্তিযোদ্ধা ড. শেখ আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপি আমলে রাজনৈতিক বিদ্বেষে প্রদত্ত আদেশ বাতিল করে আইনসঙ্গত সুবিধাদি প্রাপ্তির বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে আমাদের সবার একান্ত প্রত্যাশা’। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সাবেক সচিব মোঃ শাহজাহান সিদ্দিকী (বীর বিক্রম), জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, প্রফেসর কে এ এম সা’দ উদ্দিন, এ্যাডভোকেট জেয়াদ-আল-মালুম, প্রফেসর ড. এ কে মনোয়ার উদ্দীন আহমদ, প্রফেসর মেজবাহ কামাল, ড. সলিমুল্লাহ খান, প্রফেসর ড. এ কে এম সালাহউদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শিবনারায়ণ দাশ, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (বীর প্রতীক), সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, কবি ও লেখক মাকিদ হায়দার, অর্থনীতিবীদ ড. আবুল বারকাত, প্রফেসর ড. কাজী নুরুল ইসলাম, স্থপতি সাঈদা সুলতানা এ্যানি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
×