স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘প্রদেশে প্রাকৃতজন’, ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘যাত্রা’, ‘অপেক্ষা’, ‘পূর্বরাত্রি পূর্বদিন’সহ বহু পাঠকপ্রিয় সাহিত্যকর্মের কারিগর কথাসাহিত্যিক শওকত আলী। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গল্প ও উপন্যাস লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খ্যাতিমান এই লেখক। সোমবার ছিল প্রয়াত এই কথাসাহিত্যিকের ৮২তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে তার সাহিত্য নিয়ে এক আলোচনানুষ্ঠান হয় রাজধানীর দীপনপুর বই বিতান কেন্দ্রে এদিন সন্ধ্যায়।
গল্প পত্রিকা বয়ান আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শওকত আলীর সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন ড. আকিমুন রহমান, দীপঙ্কর গৌতম, রুখসানা কাজল, শওকত আলীর ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল, তরুণ সরকার, হামিদ কায়সার, জুয়েল কবির, মানস চৌধুরী, সৈকত ইকবাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গল্প পত্রিকা বয়ান সম্পাদক অমিতা চক্রবর্তী।
বক্তারা বলেন, কথাসাহিত্যিক শওকত আলীর উপন্যাস এবং ছোট গল্প পড়লে আমরা সেই সময়ের সমাজের ভেতরে প্রবহমান ধারা ও প্রবণতাকে বুঝতে পারি। এই ধরনের ফিকশন আমাদের কেবল চরিত্র বা কাহিনী উপহার দেয় না, যা দেয় তা হচ্ছে দেখবার চোখ। কিছু কিছু লেখক আছেন যারা জীবন সম্পর্কে, চারপাশের জগত সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দেন। আমাদের তারা যা দেন তা হচ্ছে দেখার চোখ, সমাজকে বোঝার যুক্তি এবং অনুভব করবার মতো হৃদয়। এই ধরনের লেখকদের মধ্যে সৃষ্টিশীল লেখকরাই অন্যতম। কথা সাহিত্যিক শওকত আলী সেই ধারার লেখক। তিনটির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তার ট্রিলজি ‘দক্ষিণায়নের দিন’, বহুল পরিচিত এবং আলোচিত ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ এবং ‘নাঢ়াই’। এই তিন উপন্যাসের সময় হচ্ছে ষাটের দশকের উত্তাল আন্দোলন। যে জাগরণের উত্তরাধিকার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ তা কেবল ঘটনা পরম্পরা নয়, সমাজের ভেতরে ধীরে ধীরে যে বদল ঘটেছিল তাকে অনুভব না করে ইতিহাসকে বোঝার চেষ্টার মধ্যে অপূর্ণতা থাকবে সেই সত্য।
শেষ হলো শাস্ত্রীয়সঙ্গীত ও নৃত্যোৎসব ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত শাস্ত্রীয়সঙ্গীত ও নৃত্যোৎসবের শেষদিন ছিল সোমবার। একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত উৎসবের শেষ সন্ধ্যায় খেয়াল আর নাচে দর্শকদের মুগ্ধ করে শিল্পীরা। সমবেত শাস্ত্রীয়সঙ্গীত পরিবেশন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী অর্দ্ধেন্দু প্রসাদ ব্যানার্জী, সদারং, চট্টগ্রামের স্বর্ণময় চক্রবর্তীর দল। সমবেত শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করে কথাকলি। একক শাস্ত্রীয়সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বর্ণময় চক্রবর্তী, শেখ জসিম ও মোহাম্মদ শোয়েব। এছাড়া বাঁশি পরিবেশন করেন মর্তূজা কবীর মুরাদ, এস্র্রাজ-অসিত বিশ্বাস, বেহালা-আলাউদ্দীন মিয়া এবং সরোদ-শাহাদাৎ হোসেন খান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: