আমাদের দেশের অনেই ফিগার শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। তবে পরিচিত হলেও এর অর্থ বুঝতে অক্ষম। যাই হোক এই ফিগার মেইনটেইন বা সিøম থাকতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হিমশিম খেতে হয় সবাইকে। বিশেষ করে চাকরিতে ঢোকার পর কিংবা বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু হয়ে যায় মোটা হওয়া। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সন্তান হওয়ার পর তো কথাই নেই, ওজন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। কে চায় ওজন বেশি নিয়ে ঘুরতে? ওজন যেন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডায়েট, ব্যায়াম ইত্যাদি সবকিছুকে ব্যর্থ করে ওজন যেন দিন দিন শুধু বাড়তেই থাকে! তবে চাইলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এ সংখ্যায় থাকছে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু টিপস। এগুলো মেনে চললে সারা জীবন ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।
-ওজন নিয়ন্ত্রণে ডায়েটিং জরুরী। কিন্তু খাবার খাওয়ার মধ্যে বেশি সময় গ্যাপ রাখা যাবে না। আবার ডায়েট করতে গিয়ে না খেয়ে থাকারও কোন প্রশ্নই ওঠে না। দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ বার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তাতে শরীর ভাল থাকবে। কখনও হাঁটতে পারেন, কখনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেরে নিতে পারেন জগিং। এতেও ব্যায়াম হবে।
-রাতের খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হালকা শরীরচর্চা করা ভাল। আবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর একটু হেঁটে নিতে পারেন। এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে।
-মেয়েদের দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ দিনে ১০০০-১৫০০ বেশি না হওয়াই ভাল। তবে পুরুষের শারীরিক চাহিদা একটু বেশি বিধায় তাদের জন্য ২০০০ ক্যালোরি বরাদ্দ। এর বেশি হলেই ভুঁড়ি জমতে শুরু করবে।
-এলোপাথাড়ি ব্যায়াম না করে নিজের শরীরের সঙ্গে মানানসই ব্যায়াম করুন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সস কিনে খাওয়া বাদ দিন, এতে প্রচুর চিনি থাকে।
-প্রত্যেক সপ্তাহে একই দিনে ও একই সময়ে ওজন মাপুন। এটা ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্র আপনাকে সতর্ক করে তুলবে।
-সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া সারুন। কারণ হজম ক্ষমতা গতিশীল রাখতে এটা খুব জরুরী।
-প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট খাওয়া প্রয়োজন। পেট দীর্ঘক্ষণ খালি রাখবেন না। এতে মেটাবলিজম কমে যাবে ও ওজন বাড়বে।
-ভাজা-পোড়া খাবেন সপ্তাহে একদিন।
-নির্দিষ্ট বেলার খাবারের মাঝের সময়ে যদি খিদে পায়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। আবার ফলও খেতে পারেন।
-মিষ্টি, কোমল পানীয়, কেক ইত্যাদি খাবার সপ্তাহে একদিন খেতে পারেন। বিস্কুট খেতে চাইলে ডায়েট বিস্কিট কিনুন।
-প্রাণীজ ফ্যাট, বিশেষত লাল মাংস ও ডালডা খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। মাংস খেলে চামড়া ও চর্বি বাদ দিয়ে খান।
-অতিরিক্ত দুধ জাতীয় খাবার যেমন মাখন বা চিজ বেশি খাবেন না।
-দিনে দুই কাপ গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-মাদকজাতীয় দ্রব্যের নেশা ছেড়ে দিন।
-পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমনÑ আলু, ভাত, রুটি খান। তবে লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খাওয়া সবচেয়ে ভাল।
-দুপুরে ও রাতে অবশ্যই এক কাপ করে সালাদ বা কম মসলায় রান্না সবজি খাওয়া ভাল।
-খাবারের প্লেটের আকার ছোট করুন এবং একবারের বেশি দুবার নিয়ে খাওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করুন। খাবার একবারেই প্লেটে তুলে নেবেন।
-চেষ্টা করুন সকালে ভারি ব্রেকফাস্ট করার। সামান্য ভারি লাঞ্চ এবং হালকা ডিনার করার। নাস্তা হিসাবে খান বাদাম, মুড়ি, ফল, ডায়েট বিস্কুট।
-চিনি দুই চামচের বেশি খাবেন না।
না খেয়ে থাকার চেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খান। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত খাবেন না। দেখবেন, সঠিক সময়ে পরিমিত খাবার গ্রহণে ওজন থাকবে একবারে আপনার হাতের মুঠোয়।