ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে আলোচনা

নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এদের রাজনীতি থেকে উৎখাত করতে হবে। আর নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে আগামী নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের পরিত্যাগ করবে দেশের জনগণ। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকারী দলের খন্দকার আবদুল বাতেন, বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, বেগম মাহজাবিন খালেদ, সেলিনা জাহান রিটা, বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলাম। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি এরশাদের ওপর শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে কারাগারে বন্দী রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। যারা করেছে তাদের এখন কী অবস্থা? তিনি বলেন, বেসরকারী ব্যাংকে একই পরিবারের চারজন পরিচালক করা হলো কার স্বার্থে? এটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শুভ হবে না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা দেখিয়ে দেব বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। গণতন্ত্রের জন্য সকলে আসুন, সবাই একসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। আর যারা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি, জ্বালাও-পোড়াও করে তাদের পরিত্যাগ করি। আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার দুর্নীতির অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, তার রায় হয়েছে। আজকে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারা দেশের শত্রু, তাদের এ দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। বিএনপিকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা কেন তুলে নেয়া হলো? এই ৭ ধারা তুলে নিয়ে জিয়াউর রহমান যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়েছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে দন্ডিত দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে খালেদা জিয়ার জায়গায় স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা জেগে উঠেছে। দুর্নীতিবাজদের এভাবে ছেড়ে দেয়া যায় না। দুর্নীতিবাজদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম বলেন, একপক্ষ ক্ষমতায় থাকতে আরেকপক্ষ ক্ষমতায় যেতে মরিয়া। নেতিবাচক রাজনীতি করতে গিয়ে আমরা দেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছি কি না ভাবতে হবে। শুধু নিজেদের কথা ভাবলে হবে না, জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে। কিন্তু বর্তমান যুগে আর ভোটারদের ধোঁকা দেয়া যাবে না। জনগণের মূল্যায়নের ভাষা যারা বুঝতে ব্যর্থ হবে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে, আর সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। দেশের মানুষ আর হানাহানি দেখতে চায় না।
×