ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েদের বোরকা পরতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মেয়েদের বোরকা পরতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের অন্যতম শীর্ষ আলেম শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক বলেছেন, মেয়েদের আবায়া (বোরকা) পরতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতার প্রয়োজন নেই। শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মেয়েদের আব্রু বজায় রেখে পোশাক পরতে হবে। তবে তার মানে এই নয় যে, তাদের আবায়া পরতে হবে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা অনলাইনের। সৌদি আরবে মেয়েরা পা পর্যন্ত পুরো শরীর ঢেকে রাখা যে ঢিলেঢালা আচ্ছাদন ব্যবহার করে তাকে আবায়া বলে। সেখানে আবায়া না পরে বাইরে যেতে দেখা যায় খুব কম নারীকেই। এটি পরা আইনত বাধ্যতামূলক। কিন্তু সৌদি আরবের ‘কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস’ (সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ধর্মীয় চিন্তাবিদদের কাউন্সিল) সদস্য শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক জানিয়েছেন, এটার দরকার নেই। সৌদি সমাজে যখন নানা রকম সংস্কারের চেষ্টা চলছে তখনই একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা এ ধরনের একটি ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করলেন। শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক বলেন, মুসলিম বিশ্বের ৯০ শতাংশ নারীই আবায়া পরেন না। কাজেই আমাদেরও উচিত হবে না মেয়েদের এটা পরতে বাধ্য করা। সৌদি আরবে এটাই প্রথম উচ্চ পদের কোন ধর্মীয় নেতার মুখে এ রকম কথা শোনা গেল। তার এই মন্তব্য ঘিরে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সমর্থনে কথা বলছেন আবার বিরোধিতাও করছেন। টুইটারে মাশারি গামদি নামে একজন লিখেছেন, আবায়া আমাদের অঞ্চলের একটা ঐতিহ্য। এটি কোন ধর্মীয় বিষয় নয়। আরেকজন তীব্র সমালোচনা করে লিখেছেন, যদি একশ’ ফতোয়াও জারি করা হয় তারপরও আমি আবায়া ছাড়ব না। মরলেও না। মেয়েরা, তোমরা এই ফতোয়ায় কান দিও না।
×