অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের সপ্তাহের বড় পতনের আতঙ্ক কেটেছে পুঁজিবাজার। বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এতিম খানা দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের জেল ঘোষণার পরের কার্যদিবসের প্রধান বাজারের সার্বিক সূচক বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের সব উৎকণ্ঠা কাটিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২৮ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসপিআই বেড়েছে ৪০৮ পয়েন্ট। প্রধান বাজারের সার্বিক সূচকের উর্ধগতির সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেনে সংখ্যাও বেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশ গ্রহণ বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রবিবার ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেনও বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে ৪৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে প্রায় ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩০০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯৩টির, কমেছে ২৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এদিকে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত ৩২ মাসের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদিন ডিএসইএক্স ১২৮ পয়েন্ট বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৩ পয়েন্টে। যা ২০১৫ সালের ২৬ মে বা ৩২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগে এর চেয়ে বেশি পয়েন্ট বেড়েছিল ২০১৫ সালের ২৫ মে। ওই দিন ১৩০.৪৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। সকালে সূচকের উত্থান দিয়ে শুরুর পর ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ১২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৪১২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে।
ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, স্কয়ার ফার্মা, মুন্নু সিরামিক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ফার্মা এইড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, কেয়া কসমেটিক, গ্রামীণফোন ও সিটি ব্যাংক।
দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ফাইন ফুড, সেন্ট্রাল ফার্মা, অগ্নি সিস্টেম, মেট্রো স্পিনিং, দেশবন্ধু পলিমার, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, দেশ গার্মেন্ট ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, উসমানিয়া গ্লাস, দুলামিয়া কটন, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, লিব্রা ইনফিউশন ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪০৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৮৩৭ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৬টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির শেয়ার দর।
সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, কেয়া কসমেটিক, ইফাদ অটো, ন্যাশনাল ব্যাংক, বেক্সিমকো, সাইফ পাওয়ার টেক, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
