ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বিভাজন’

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বিভাজন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি ব্যতিক্রমী গল্পে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বিভাজন’। হরিপদ দত্তের গল্প অবলম্বনে এটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ুন রশীদ সম্রাট। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চমক তারা, মরু ভাস্কর, আহমেদ সাব্বির রোমিও, হুসনে মোবারক রুমি, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে টার্টল ফিল্মস্ বাংলাদেশ। চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক আহম্মেদ সাব্বির রোমিও। চলচ্চিত্রের কাহিনীতে দেখা যাবে দীর্ঘদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মরণের কাছে পরাজয় মানে মাহবুব। তার সেই লাশ নিয়ে আন্তঃজেলা প্রশস্ত সড়ক ধরে মাহবুবের স্ত্রী রোমানা এবং ছোটভাই আফজাল গ্রামের বাড়ির পথে যাচ্ছে। অন্ধকার রাত, যখন লাশ গাড়িটি ছুটে চলে, তখন মনে হয় লাশ গাড়িটি একটি জলযান। জলযানটি মহাশূন্যের কৃষ্ণগহ্বরের দিকে ছুটে চলেছে। কেবল গাড়ির স্বচ্ছ হেড লাইট এই অন্তহীন অন্ধকারে ঠান্ডা আলো জ্বেলে ভয়ার্ত খরগোশের মতই ধাবমান। এ্যাম্বুলেন্সের কফিনে মাহবুবের লাশ। তার পাশে বসে আছে আফজাল এবং স্ত্রী রোমানা। স্বামীর লাশ সামনে নিয়ে রোমানার ভেতরে চলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। মৃত্যুর আগে স্বামীর নির্দেশ দেবরকে বিয়ে করতে হবে। শ্বশুরের আবদার দেবরকে বিয়ে করতে হবে। রোমানার মনের বিরুদ্ধে জোর করে দেবরের সঙ্গেই বিয়ে হবে এই সদ্য বিধবা স্ত্রীর। হঠাৎ সশস্ত্র ডাকাত দল আক্রমণ করে লাশবাহী গাড়িতে, কেড়ে নেয় নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, সব ব্যাগ এমনকি রোমানার স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট। সেই সঙ্গে ডাকাতরা রোমানাকেও ধর্ষণ করে। এমন অবস্থায় দেবর ভয়ে নির্বাক হয়ে থাকে। একটু আগেও যে পুরুষ রোমানাকে বিয়ের জন্য উদগ্রীব ছিল, সেও ডাকাতের ভয়ে রোমানাকে উদ্ধার করতে পারেনি। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রোমানার কেবলই মনে হয়-তার স্বামী, শ্বশুর, দেবর আর ডাকাতদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। অবশেষে তারা লাশবাহী গাড়ি নিয়ে ছুটে চলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
×