ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় ফের বিষটোপ দিয়ে পাখি নিধন

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভোলায় ফের বিষটোপ দিয়ে পাখি নিধন

হাসিব রহমান, ভোলা ॥ উপকূলের অর্ধশতাধিক চর প্রতি বছরের মতো এবারও শীত অতিথি পাখির কলকাতনে মুখরিত। কিন্তু কিছু অসাধু শিকারিদের কারণে ওইসব পাখি এখন আর নিরাপদ নয়। তারা ভোলার চরাঞ্চলে নিরাপদ আবাস হিসেবে রং বেরঙের পাখা মেলে চরের জলে ডুব সাঁতার কেটে খাবার খেতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। গত বছরের মতো এবারও নির্বিচারে প্রতিদিন শত শত পাখি বিষ টোপসহ বিভিন্ন ভাবে শিকার করা হচ্ছে। মেঘনা নদী ও চরে শত শত মৃত পাখি পড়ে রয়েছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে মনোমুগ্ধকর চরগুলো। ফলে পাখিদের আগমনও কমে গেছে। অতিথি পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বন বিভাগ ও প্রশাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শিকারীদের দৌরাত্ম্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি একজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ভোলার জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে এ সব পাখির লালন জরুরী। কিন্তু সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর কোন নজরদারি নেই। পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা সম্ভব না হলে শীঘ্রই এ অঞ্চলটি পাখি শূন্য হয়ে পরবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরাঞ্চলে প্রতি বছরের মতো এ বছরও সাইবেরিয়াসহ শীত প্রধান দেশ থেকে এসেছে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ পাখি। ভোলা সদরের মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুর, বৈরাগীর চর, চরফ্যাশনের তারুয়া, কুকরী-মুকরী, সাগর কন্যা মনপুরার ঢালচর, চর পালিতাসহ অর্ধশতাধিক চরে নানা রঙের পাখিদের কলকাতন আর কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে চরাগুলো। ভ্রমণ পিপাসুদের এসব পাখি দেখলে চোখ মন ভরে যায়। কিন্তু এসব দুর্গম চরাঞ্চলে পাখির জন্য নিরাপদ আবাস স্থল হওয়ার কথা থাকলেও পাখি শিকারীদের কারণে তাদের কোন নিরাপত্তা নেই। ধান ও শুঁটকি মাছের সঙ্গে বিষাক্ত রাসয়ানিক দ্রব্য ও জাল ফেলে নির্বিচারে চলছে পাখি শিকার করা হচ্ছে। খাদ্যের সন্ধানে রং বেরঙের পাখা মেলা এসব পাখি শিকারীদের বন্দুকের কাছে রক্ষা পাচ্ছে না। চরের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাখি শিকারী চক্র অতিথি পাখি নিধনের পর তারা জবাই করে গোপনে বিভিন্ন হোটেলে ও বাসা বাড়িতে ফেরি করে বিক্রি করে।
×