ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হোসাইন ইমরান

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড উৎসব

গান হচ্ছে মনের খোরাক। ঘোর বিষণ্ণতার আধারে মন যখন আচ্ছন্ন থাকে, তখন নিজের একমাত্র সঙ্গী হয় গান। আবার কেউ কেউ বলেন, মনের ক্লান্তি, অবসাদ দূর করে নতুন উদ্যমে নিজেকে উজ্জীবিত করতে অনুপ্রাণিত করে গান। চিরকাল ধরে বাঙালী গান প্রেমিক। বিভিন্ন ধারার গান আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। লোকসঙ্গীত, বাউল আধুনিক, ক্লাসিক, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি এর মধ্যে অন্যতম। এসব গান আবহমান কাল থেকে বাঙালীর মনের খোরাক যুগিয়েছে। তবে আধুনিক প্রজন্ম এসব ধারা থেকে বের হয়ে পশ্চিমা ধাঁচের ব্যান্ড সঙ্গীতের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে অনেকটাই। তাই এদেশে গড়ে উঠেছে নানা ব্যান্ড গানের দল। তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কিছু গানপাগল শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে ব্যান্ডদল। পপ, রক, মেটাল, হেভি মেটাল নানা ধরনের সঙ্গীত সামন তালেই এসব ব্যান্ড করে থাকে। এদের কেউ সখের জায়গা থেকে গান করেন আবার কেউ পরবর্তীতে জীবনে গানকে পেশা হিসেবে নেওয়ার জন্যই গান করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ডের অংশ্রগহণে মাঝে মাঝে ব্যান্ড উৎসবেও মেতে ওঠে তারা। তেমিন একটি উৎসব হয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ ব্যান্ড উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্গ’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এবান্টর’, বুয়েটের ‘দ্য লাস্ট পিন্স বিফুর দ্য ডেথ’, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাররোগেটস’ এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির ‘দ্য ব্যান্ড কমিউনিটি’। দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের অংশগ্রহণে আর ক্যাম্পাসসহ শহর থেকে ছুটে আসা মানুষের ঢলে প্রায় জনস্রোত তৈরি হয়েছে উৎসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড নোঙর’র ১৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। আগত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ডদলের সঙ্গে নোঙরও পারফর্ম করেছিল। উৎসব সম্পর্কে নোঙরের সাংগঠনিক সম্পদক মিনহাজুল তানজিম বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রতিষ্ঠিত কিছু ব্যান্ডসঙ্গীতের দল রয়েছে। এসব দলের অংশগ্রহণে সাধারণত উৎসব হতে খুব বেশি দেখা যায় না। শহরকেন্দ্রিক প্রফেশনাল ব্যান্ডগুলোকে নিয়ে আমরা নানা সময় কনসার্টের আয়োজন করে থাকি। তাই এবার আমরা একটু ব্যতিক্রমী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ব্যান্ডগানের দলকে নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেছি। তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমান প্রজন্ম গান হিসেবে ব্যান্ডকেই বেছে নিচ্ছে, এমন উৎসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড দলগুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। উৎসবে দর্শক সারির শ্রোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়ন্ত জয় বলেন, আমরা সব সময় প্রথম সারির প্রফেশনাল ব্যান্ডগুলোর গান শুনে থাকি। তাই বিশ্ববিদ্য্যালয়ের ব্যান্ড সম্পর্কে সাধারণত কোন ধারণাই থাকে না। উৎসবে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্য্যালয়ের ব্যান্ডেকে একসঙ্গে শুনতে পেলাম। সব ব্যান্ডের গানই ভাল ছিল। এ ধরনের উৎসব বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
×