ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাট্যকারদের জন্য কিছু করতে চাই ॥ আজম খান

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নাট্যকারদের জন্য কিছু করতে চাই ॥ আজম খান

এই সময়ের জনপ্রিয় নাট্যকার, অভিনেতা ও প্রযোজক আজম খান। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দিকে লেখালেখির পাশাপাশি নাটকে অভিনয়ও করেন। ২০১০ সালে তার রচিত প্রথম গ্রন্থ ‘ব্ল্যাক’ প্রশংসিত হয়। পরের বছর তিনটা উপন্যাস আজম খানকে লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এর পর নিয়মিতভাবে ছোট গল্প লেখার পাশাপাশি নাটক লিখে পরিচিতি পান। বর্তমানে টেলিভিশিন নাট্যকার সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক আজম খান। সম্প্রতি তার ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয়। শুরুতেই জানতে চাই নাটক রচনা পেশার সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে? আজম খান : প্রখ্যাত পরিচালক নাট্যকার গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নাটকের প্রতি মোহ তৈরি হয়। এক সময় সেলিম ভাইকে বললাম নাটক লিখলে কেমন হবে। তিনি বলেন তোমার গল্প খুব সুন্দর হয়, লিখলে ভাল হয়। তখন আমি ‘শ্রাবণ সন্ধ্যা’ নামে একটা গল্প লিখে সেলিম ভাইকে দেখানোর পর তিনি প্রশংসা করলেন। সেই থেকে নাটক লেখা শুরু। এ পর্যন্ত কতগুলো নাটক রচনা করেছেন? আজম খান : নাটকের সংখ্যা বলা কঠিন। তবে একক নাটক ৬০-৬৫টি হবে। আমার প্রথম রচিত নাটক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন পরিচালিত ‘ক্ষ্যাপা’। এর পর ধারাবাহিক ‘মনের মানুষ নাইরে দেশে’ দিগন্ত টিভিতে প্রচার হয়। আলী রেজা পরিচালিত ‘তৃতীয় পৃষ্ঠা’,‘সার্টিফিকেট’ ও ‘ঘোর’, সরিফুর রহমান ডাবলুর ‘নমিনি’, সরদার রোকনের ‘নীলিমার রূপ কথা’, ‘লুকোচুরি’, ‘হাতবাড়ালেই পাবে তুমি’, ‘এই বসন্তে’, সুমন রেজার ‘কুটুম বাড়ি’ ‘টিভি পরিবার’, রাশেদ রাহার ‘মিতা অথবা ছুটির গল্প’, আদিত্য জনির ‘দুই পুতুলের গল্প’, শাহরিয়ার সুমন ‘লালশাড়ী নীল আঁচল’, ‘বুনো হাঁস’, ‘লাগছে ভাল আজ’, সম্রাট নাসিরের ‘নিশি কাব্য’, ‘গুলবাহাদুর লজ’ প্রভৃতি। বর্তমানে কায়সার আহমেদের সঙ্গে ধারাবাহিক ‘নীল ফড়িংয়ের গল্প’, ফরিদুল হাসানের ‘ভুল ভুলিয়া’ নিয়ে কাজ করছি। আরও তিনটি একক নাটক প্রচারের অপেক্ষায়। এ ছাড়া কয়েকটা টিভিসির কাজ শেষ হয়েছে। আপনিতো অভিনয়ও করেন? আজম খান : অভিনয় আসলে খুব কঠিন বিষয়। প্রতিটি বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে অভিনয় সত্যই কঠিন বিষয়। কয়েকটা টিভিসিতে অভিনয় করেছি। সামনে আরও কয়েকটা আছে। বই মেলায় কী আসছে? আজম খান : আমার প্রিয় কয়েকজন নাট্যকারের লেখা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করছি। এতে আমার একটা গল্প থাকছে। ছোট বেলা থেকে টুকটাক লেখা লেখি করতাম। কবিতা দিয়ে শুরু। আমার লেখার উৎসাহদাতা আমার স্ত্রী। টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ বিষয়ে জানতে চাই। আজম খান : টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ আমার প্রাণের সংগঠন। আমি এর সাংগঠনিক সম্পাদক। এই সংগঠনের মাধ্যমে নাট্যকারদের নিয়ে কিছু করতে চাই। এ ধারবাহিকতায় নাট্যকারদের প্রশিক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী মার্চ মাস থেকে তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষন কোর্স শুরু হচ্ছে। আমরা আশা করি এ উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন নাট্যকার তৈরির পাশাপাশি প্রতিভাবান নাট্যকার বেরিয়ে আসবে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মকা-ের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে তাদের মেধা মূল্যায়নে কাজ করতে চাই। সত্যি কথা বলে কী তাদের জন্য কিছু করতে পারলে আমারও ভাল লাগবে। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? আজম খান : ‘সন্তান’ নামে একটা ফিল্মের কাজ করছি। এ ছাড়া প্রিয় পরিচালক উত্তম আকাশের জন্য একটি কাজ করছি। প্রবাসী দুই বিবাহিত পরিবারের গল্প। গল্পটি এ রকম যে এখানে জীবনের তাগিদে মানুষ প্রেমে পড়ে যায়। যেখানে তার স্বামী সন্তান থাকার পরেও একটা পুরুষের প্রেমে জড়িয়ে গল্পের মোটিভ তৈরি হয়। নাট্য দর্শকদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য? আজম খান : দর্শকদের উদ্দেশে একটাই কথা বলব আপনারা দেশের নাটক বেশি বেশি দেখুন, দেশীয় সংস্কৃতি চর্চাকারীদের উৎসাহিত করুন। তাহলেই দেশীয় সংস্কৃতি বিকশিত হবে এবং বেঁচে থাকবে। -সাজু আহমেদ
×