ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘জবর আজব ভালবাসা’ নাটকের চার প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘জবর আজব ভালবাসা’ নাটকের চার প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবারের বসন্ত ও ভালবাসা দিবসকে আরও রাঙিয়ে দিতে থিয়েটারওয়ালা রেপার্টরি তাদের অন্যতম প্রযোজনা ‘জবর আজব ভালবাসা’ নাটকের ৪টি মঞ্চায়ন করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় নাটকের দুটি প্রদর্শনী হবে। পরদিন বিশ্ব ভালবাসা দিবসে বেইলি রোডের নাটক সরণির মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মঞ্চেও বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় দুটি প্রদর্শনী হবে। আন্তন চেখভের ‘দ্যা বিয়ার’ নাটকের অনুবাদ করেছেন মোবারক হোসেন খান। নাটকটির রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফ সুমন। দর্শক প্রিয় এই নাটকের তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেন প্রাঙ্গণে মোরের রামিজ রাজু, নাট্যকেন্দ্রের সঙ্গীতা চৌধুরী এবং থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সাইফ সুমন। এ প্রসঙ্গে নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, যারা এবারের বসন্ত ও ভালবাসা দিবসে তাদের সময়টুকু আরেকটু আনন্দময় করে তুলতে চান, তারা এই নাটকটি দেখে এক ঘণ্টা সময় আমাদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে কাটাতে পারেন। ‘জবর আজব ভালবাসা’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যায় প্রয়াত স্বামীর শোকে সারাক্ষণ বিলাপ করতে থাকেন গৃহকর্ত্রী প্রভা। এতে তার ওপর ভীষণ বিরক্ত বাসার কেয়ার টেকার সবুর। সবুরের কাছে জীবন মানে খাও-দাও-ফুর্তি কর। কিন্তু গৃহকর্ত্রী প্রভা মৃত স্বামীর প্রতি এতটাই কাতর যে, দিন-দুনিয়া ভুলে অনেকদিন হয় গৃহবন্দী জীবনযাপন করে চলেছে। সে বাসার বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা, বাসায় কেউ এলে দেখা পর্যন্ত করে না। একদিন সন্ধায় কাটাবনের এ্যানিম্যাল ফুড ব্যবসায়ী নাভিদ বাসায় আসে প্রভার সঙ্গে দেখা করতে। ব্যবসায়ী নাভিদ জানায়, প্রভার স্বামী তার দোকান থেকে নিয়মিত কুকুরের জন্য খাবার কিনত এবং বকেয়া বিল বাবদ তার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওনা আছে। প্রভা জানে তার স্বামীর প্রচুর কুকুরপ্রীতি ছিল। সে জানায় টাকাটা শোধ করে দেবে কিন্তু তাকে দুইদিন সময় দিতে হবে। নাভিদ জানায় টাকাটা তার আজই লাগবে, কারণ কাল টাকা দিতে না পারলে ব্যাংক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেবে। প্রভা জানায়, টাকা-পয়সার কোন হিসাব সে রাখে না। ম্যানেজার ছুটি থেকে দু’দিন পর ফিরবে, তখন টাকা শোধ করে দেবে। কিন্তু এর আগে কোনভাবেই টাকা দেয়া সম্ভব না। নাভিদও নাছোড়বান্দা, সে টাকা না নিয়ে যাবেই না। একজন টাকা দিতে পারবে না, আরেকজন টাকা না নিয়ে যাবেই না। দুইজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে নাভিদ বলে, এসব টাকা না দেয়ার কৌশল। নাভিদ মনে করে পৃথিবীর সব নারী নির্বোধ এক প্রাণী যারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মায়া কান্নাই করতে জানে শুধু। এতে প্রভা আরও ক্ষেপে যায় এবং পুরুষদের কথা বলতে গিয়ে নিজের স্বামীর সব অপকর্মের বয়ান দেয়। তারপরও বলে সে তার স্বামীকে ভালবাসে। দু’জনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নাভিদ আবিষ্কার করে সে প্রভাকে ভালবেসে ফেলেছে এবং সে প্রভাকে প্রস্তাব দিয়ে ফেলে। প্রভা শুনে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে, নাভিদকে গুলি করে মেরে ফেলতে চায়। ঘরে থাকা স্বামীর পিস্তলও নিয়ে আসে। কিন্তু সে জানে না কিভাবে গুলি চালাতে হয়। এক সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের টপটেরর নাভিদের কাছে পিস্তল চালানো ডাল-ভাত। প্রভা তার কাছে পিস্তল চালানো শিখতে চায়। অতঃপর এই পিস্তল চালানো শেখাতে ও শিখতে গিয়ে দুইজন আরও কাছাকাছি চলে আসে। দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয় এবং দুইজনই পরস্পরকে ভালবাসতে সম্মত হয়।
×