ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে দুই শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ॥ প্রাণহানির আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ফটিকছড়িতে দুই শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ॥ প্রাণহানির আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১০ ফেব্রুয়ারি ॥ বৃহত্তর ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে বহু বছর আগে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করায় দুশতাধিক বহুতলা ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় ভূমিকম্প হলেই এসব ভবন ধসে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞমহল। সরেজমিনে দেখা গেছে, এ উপজেলাদ্বয়ের বিভিন্ন বাণিজ্য কেন্দ্র, আবাসিক এলাকায় এবং গ্রামে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ভবনের ব্যবহার চলছে। ভবনের কোন কোন মালিক বাড়তি আয়ের লোভে ন্যূনতম রডের একতলায় বহুতলা ভবন গড়ে তোলায় মৃত্যুঝুঁকি আরও বেড়েছে। তাছাড়া এ উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী পৌরসভা, নাজিরহাট পৌরসভা এবং ফটিকছড়ি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য স্থানীয় প্রশাসনের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। অথচ রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ইমারত আইন অনুসরণ করে হোল্ডিং ট্যাক্স ঠিকই আদায় করা হচ্ছে। এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভায় ‘হোসাইন প্লাজা’ নামে অপরিকল্পিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ভবনের ছাদ খসে পড়ে এক ব্যবসায়ী দু-দুবার প্রাণে রক্ষা পায়। এ ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন ধরনের ১৬টি দোকান সর্বক্ষণিক খোলা থাকলেও উপরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। এ ব্যাংকের স্ট্রং রুমে রক্ষিত ভারি ওজনের লকার এবং উচ্চশক্তি সম্পন্ন জেনারেটরের ভাইব্রেটের কারণে এ বাণিজ্যিক ভবনটি এখন অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ ভবনে কোন ক্রেতা বিকিকিনি করতে যেতে সাহস করে না। এমনকি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিয়য়ে উক্ত বাণিজ্যিক ভবনের মালিক নূর নেওয়াজ বাবুল জানান, ব্যাংকের জেনারেটরের ভাইব্রেশনে ভবনটি অতিঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ। তিনি আরও জানান, প্রাণহানি রোধে শীঘ্রই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য ৩ মাসের নোটিস দেয়া হবে। স্থানীয়রা বলছে, এ ভবনটি ধসে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা ও নাজিরহাট পৌর প্রশাসনের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই।
×