ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধলেশ্বরীতে মাটি উত্তোলন ॥ হুমকিতে সেতু

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ধলেশ্বরীতে মাটি উত্তোলন ॥ হুমকিতে সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১০ ফেব্রুয়ারি ॥ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের বাউসাইদ নন্দীপাড়া গ্রামে (চারাবাড়ী থেকে গোলচত্ব¡র সড়কের) ধলেশ্বরী নদীর উপরের ব্রিজের এক শ’ গজ দক্ষিণে অবৈধভাবে ড্রেজার ও বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। এ কারণে ওই এলাকার রাস্তাঘাট প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বারবার প্রতিবাদ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না। জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ধলেশ্বরী নদীর উপরের ব্রিজের এক শ’ গজ দক্ষিণে অবৈধভাবে ড্রেজার ও বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে শহিদ ও দেওয়ান সুুমন আহমেদ। শহিদ মিয়া টাঙ্গাইল পৌরসভার কাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন যাবত নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছে। অপর ব্যবসায়ী দেওয়ান সুমন আহমেদ কাতুলী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রভাবশালীরা এভাবে ব্রিজের নিকট থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও বিক্রি করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়লে হাজারও মানুষের নদী পারাপারে অসুবিধা হবে। ব্রিজের নিকট থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানান এলাকার অনেকেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের বাউসাইদ নন্দীপাড়া গ্রামে (চারাবাড়ী থেকে গোলচত্ব¡র সড়কের) ধলেশ্বরী নদীর ব্রিজ থেকে এক শ’ গজ দূরে ৩টি বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে। বেকুর পাশে বসে পঞ্চগড় জেলার বেকু চালকের সহকারী এক ব্যক্তি মাটি কেনার রশিদ দিচ্ছে। পাশেই নদী থেকে শহিদের নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছে। ড্রেজার ও বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করার ছবি তোলার সময় কয়েক ব্যক্তি এগিয়ে এসে বলেন, শহিদের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা বলেন। মুঠো ফোনে শহিদ বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছি। পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুসা দেওয়ান বলেন, আমরা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি এনে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছি। এখানে প্রশাসন এসেও আমাদের বেকু ও ড্রেজার বন্ধ করতে পারবে না। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে সদর টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনাত জাহান বলেন, আমি মাত্র বিষয়টি অবগত হলাম। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
×