ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইন্দুরকানীতে অবৈধ ইটভাঁটি বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইন্দুরকানীতে অবৈধ ইটভাঁটি বন্ধের  দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর চন্ডিপুর গ্রামে কচা নদীর বেড়িবাঁধ ঘেঁষে এক প্রভাবশালী কৃষকলীগ নেতা গড়ে তুলেছেন ‘কেবিআই’ নামের ইটভাঁটি। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলী জমির মালিক ও স্থানীয় নারী-পুরুষ শুক্রবার সকলে অবৈধ ভাঁটি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। অধিবাসীরা প্রশাসনকে অভিযোগ দিলে ভাঁটি মালিক রুহুল আমীন বাঘা তেলে-বেগুনে আরও ক্ষেপে যান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইটভাঁটি করেছি, পারলে সাংবাদিকরা বন্ধ করুক বলে হুমকি দেয়। ওই উপজেলায় ৭/৮টি ইটভাঁটি গড়ে উঠলেও ইতোমধ্যে অন্তত পাঁচটির কোন বৈধ কাগজপত্র নেই বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। চ-িপুর গ্রামের ভুক্তভোগী ভূমি মালিকগণ ও স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতির প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী ওই মালিকের বিরুদ্ধে। ইটভাঁটি সংলগ্ন বসতভিটার বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ ভাঁটির আগুনে ঝলসে বিবর্ণ হয়ে গেছে। জমির ভুক্তভোগী মালিক মশিউর রহমান, শহীদুল ইসলাম দোদুল, তহমীনা বেগম, হাওয়া বেগম, নার্গিস বেগম, কবিরুল ইসলাম, সালেক ফরাজী ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা ১০ বছর আগে সিডরে জানমালসহ বিপুল সম্পদ খুইয়েছি, যার ধকল এখনও সামলে উঠতে পারিনি। এখন আবার নতুন উপদ্রুপ অবৈধ ইটভাঁটি, আগামীতে ক্ষেতের ফসল ভাল না পাইলে নদী কূলের মানুষ আমরা না খাইয়া মরতে হবে। তাদের আরও অভিযোগ, জমিতে পুকুর কেটে ইটভাঁটির মাটি উত্তোলনের ফলে পাশের জমি পুকুরেই ভেঙ্গে পরছে। ফলে বাধ্য হয়েই জমির মালিকরা কম মূল্যে ইটভাঁটিতে তাদের জমি বিক্রয় করতে বাধ্য হবে। গ্রামের অনেক নিরন্ন আয়ের জমির মালিক রুহুল বাঘার প্রভাবের কারণে সত্য কথাগুলো বলতে ভয় এখন পাচ্ছেন। এরই মধ্যে চার বিঘা ফসলি জমি ক্রয় করে বাকি আরও প্রায় চার বিঘা জমি স্থানীয়দের কাছ থেকে মৌখিকভাবে বাৎসরিক ১০ মণ ধান দেয়ার চুক্তি করে ইটভাঁটিয় শ্রমিক লাগিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিয়েছেন রুহুল আমীন বাঘা।
×