ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জবদলে যাচ্ছে বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনধারা

নৌকায় ভাসমান জীবন ছেড়ে ওদের বসবাস এখন দালানঘরে

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

   নৌকায় ভাসমান জীবন ছেড়ে ওদের বসবাস এখন দালানঘরে

জান্নাতুল মাওয়া সুইটি ॥ ‘পূর্বপুরুষের রীতিনীতি ও পেশা থেকে বেরিয়ে আমরা সমাজের মূল ধারায় আসতে চাই। আর নিরক্ষর থাকব না, নাগরিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হব না।’ সাভার বেদেপল্লীর বেদে পরিবারের বেশিরভাগই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। তারা আর সমাজের অন্তরালে থাকতে চান না। আবহমানকাল ধরেই সমাজের আড়ালে বাস করে আসছে বেদে সম্প্রদায়। যুগের পর যুগ অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার আর দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে ডুবে ছিলেন সাভারের বেদেরা। সময় পাল্টে গেছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে মানুষের জীবনধারা। আর এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের বেদে সম্প্রদায়ও। ক্রমেই উন্নত হচ্ছে তাদের জীবনমান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অন্ধকার জীবন থেকে আলোতে ফিরছে অবহেলিত এই জনগোষ্ঠী। আর দলিত শ্রেণীর এসব জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ‘লিফট’ কর্মসূচীর আওতায় এই শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সচেতনতা বৃদ্ধি, কারিগরি শিক্ষাসহ আয়বর্ধনমূলক কর্মকা- নিশ্চিতে কাজ করছে জাতীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানটি। পরিবর্তিত সামাজিক বাস্তবতায় কেমন আছেন তারা? সম্প্রতি সাভারের পোড়াবাড়ি বেদেপল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, বেদে সম্প্রদায়ের অনেকেই বাস করছেন দালানঘরে। বদলেছে তাদের বাসস্থান। এখন আর তারা নদীতে নৌকায় ভাসমান জীবন কাটায় না। তাদের সন্তানরা স্কুলে যাচ্ছে। ঝাড়ফুঁক, সিঙ্গা লাগানো, দাঁতের পোকা ফেলা কাজের পরিবর্তে নারীরা স্থানীয় বাজারে দোকান করা, হাঁস-মুরগি বা কবুতর পালন, মাছ চাষ ও কাঁথা-কাপড় সেলাইয়ের মতো হাতের কাজ শিখে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এছাড়া পুরুষরাও পূর্বপুরুষের ব্যবসা যেমন বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাপ খেলা দেখানো, তাবিজ-কবজ, জাদু দেখানো কাজের পরিবর্তে উঠে আসছেন ব্যবসা কিংবা চাকরিতে। সব মিলিয়ে তাদের জীবনমান পরিবর্তন চোখে পড়ার মতোই। জানা গেছে, শত বছর আগে সাভারের পোড়াবাড়ি এলাকায় বসবাস শুরু করে বেদে সম্প্রদায়। সাভারের বংশাই নদীর তীরে পোড়াবাড়ির অবস্থান। এখানে বসবাস বিভিন্ন গোত্রের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের। এদের মধ্যে কেউ সাপুড়ে এবং বাজিকর। এরা চুড়ি-ফিতা বিক্রি, সাপ খেলা ও জাদু দেখানো, সিঙ্গা লাগানো এবং তাবিজ-কবজ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে বেদে নারীদের এসব সেবা গ্রহণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই জীবনের তাগিদে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পেশা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছেন বেদে সম্প্রদায়। ইয়াসমিন ও জিয়াসমিন দুই বোন। তারা পড়ালেখা করার সুযোগ না পেলেও নিজ দক্ষতায় চাকরি পেয়েছেন। তারা দুজনেই বাটা জুতার ফ্যাক্টরিতে প্যাকেটিংয়ে চাকরি করেন। দু’বছর ধরে তারা এই পেশায় আছেন। পিতৃহীন পরিবারে আরও আছে ছোট দুটি বোন ও মা। মোট পাঁচজনের সংসার চালানোর দায়ভার পড়েছে ইয়াসমিন ও জিয়াসমিনের ওপর। মেয়েদের উপার্জিত অর্থে বাঁচতে পেরে মা শেফালি বেগমও অনেকটা নিশ্চিন্ত। কারণ, তিনি এখন অসুস্থ। ঝাড়ফুঁক, সিঙ্গা লাগানো, দাঁতের পোকা ফেলা ইত্যাদি কাজে বাইরে যেতে পারেন না। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ‘এক মাস আগেই জরায়ুতে একটি অপারেশন করতে হয়েছে। মেয়েদের টাকাতেই আমি বেঁচে আছি। ওদের পড়ালেখা করানোর সুযোগ পাইনি। আমি নিজেই পরিশ্রম করে চার মেয়েকে বড় করেছি। ওদের বাবা অনেক আগেই বিয়ে করে অন্য পরিবার শুরু করেছে। আর পরিবার থেকেই কি? বেদে পরিবারে তো নারীদেরই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়! তার মেয়েদেরকে এই সম্প্রদায়ের বাইরে বিয়ে দেয়ার ইচ্ছা আছে বলে জানান তিনি। সালমা একজন বেদেকন্যা। বয়স ১৫ বছর। ৩ বছর আগে বাল্যবিয়ের শিকার হয় সে। কারণ বেদে পরিবারে বেড়ে ওঠা কিশোরীকে ১২ বছর হলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। কিন্তু টেকেনি তার সংসার। ১৫ বছর বয়সী এই কিশোরী জনকণ্ঠকে জানায়, ‘আমার স্বামী ঘরেই বসে থাকত, তাস খেলত। কোন কাজ করত না। সপ্তাহে একদিন কিংবা দু’দিন হয়ত সাপ খেলা দেখাতে বের হতো। কিন্তু আমাকে প্রতিদিনই ঝাড়ফুঁক, সিঙ্গা লাগানে সহ ভিক্ষা করতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হতো। সারাদিন কষ্ট করে যা উপার্জন করতাম তা রাতেই নিয়ে নিত। আবার মারধরও করত। এরপর সালিশে সর্দারের মাধ্যমে আমাদের তালাক হয়ে যায়।’ এরপর কি করছে সালমা? সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় সে কারচুপি সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। এবং কারচুপি করা থ্রি-পিছ ও শাড়ির অর্ডার নিয়ে সেগুলো ঘরে বসে সেলাই করে মাসে ভাল অর্থ রোজগার করছে। আর তা দিয়ে বেশ ভালই চলছে তার সংসার। নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে সালমা বলল, ‘অবশ্যই আমি এ কাজে পারদর্শী হয়ে আরও বেশি করে অর্ডার নেব। এক সময় টাকা জমিয়ে নিজে ব্যবসা শুরু করব এবং আরও বেদে মেয়ের জীবনমান উন্নয়নে সাহায্য করব।’ বর্তমানে বেদে সম্প্রদায়ের জীবনচিত্রে পরিবর্তন এসেছে। ধীরে ধীরে তারাও আধুনিক হতে শুরু করেছে, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে তাদের মাঝে। হোসনে আরা। ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরী বর্তমানে কলেজে পড়ছে। শুধু তাই নয়, পড়াচ্ছে এলাকার বেদে শিশুদের। পিকেএসএফ পরিচালিত ‘বেদে জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবিকায়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ শীর্ষক উদ্যোগের আওতায় পরিচালিত প্রাক-প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সংগ্রামী এই কিশোরী। সে জনকণ্ঠকে বলে, ‘অনেক বাধাবিপত্তি রুখে দাঁড়িয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছি। স্কুলে আমার পাশে কেউ বসত না। বলত তুই বেদের মেয়ে। তোর সঙ্গে মিললে আমরাও বেদে হয়ে যাব। তবুও নিজ সাহসে কলেজ পর্যন্ত এগিয়েছি। ভবিষ্যতে আরও পড়ালেখা করব এবং চাকরি করব। আর এই সম্প্রদায়ের শিশুদের পড়াতে পেরে খুবই ভাল লাগে। ওদেরকে মূলত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয় এই স্কুলে। কারণ, এখানকার প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিশুদের শুরু থেকে শেখানো হয় না। তাই এখানে আমি শিশুদের স্বরবর্ণ, ব্যাঞ্জনবর্ণ থেকে শুরু করে ইংরেজী বর্ণ, সংখ্যা পরিচয় ও কবিতা শিখিয়ে থাকি। যাতে তারা প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে সেই নিয়মে পড়তে পারে।’ হোসনে আরার মতোই আরেক অগ্রদূত কিশোরী দোলনচাঁপা। তিনি বর্তমানে ডিগ্রীতে পড়ছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের হাত খরচ চালাচ্ছেন। তার বাবা জনকণ্ঠকে জানান, তার তিন মেয়ে। মেজো মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ছোটটি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছে। পরিবারের দায়িত্ব তার ঘাড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সাপ ধরার বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করি, তাবিজ-কবজ, সাপ খেলা দেখানোর কাজ করি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে। আমার স্ত্রী একজন গৃহিণী। আমরা অনেক আগেই বেদে সম্প্রদায়দের জীবন থেকে বেরিয়ে এসেছি। যদিও আমার পেশা এখনও একই রয়েছে। তবুও কখনও মেয়েদের পড়াতে পিছপা হইনি। অনেক পরিশ্রম করেই ওদেরকে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন দেখছি। আমার বড় মেয়ের দেখাদেখি অন্যান্য বেদে বাবা-মা তাদের মেয়েকে স্কুলে দেবে, আশা করি। তবে এখন অনেকের ধারণাই পাল্টেছে। সবাই চান তাদের সন্তান স্কুলে যাক, শিক্ষিত হয়ে চাকরি করুক। এদিকে পেশা পরিবর্তনের কারণ জানিয়ে বেদে লোকমান জনকণ্ঠকে জানান, আমরা অধিকাংশ বেদেই বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছি। আগে সাপ খেলা দেখিয়ে অনেক টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তো সাপই পাওয়া যাচ্ছে না, চলব কি করে। এজন্য আমরাও এখন এসব কাজ ছেড়ে ব্যবসা কিংবা অন্যান্য কাজ করতে চাই। আমরাও চাই ভাল কাজ করে সন্তানদের শিক্ষিত করতে। সমাজজেবা অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে মোট দলিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৮৯। এদের মধ্যে সারা দেশে মোট বেদে সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ৮ লাখেরও বেশি। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সাতটি জেলা নিয়ে পাইলট প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৬ লাখ টাকা। যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নতুন ১৪ টি জেলাসহ মোট ২১ টি জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার টাকায় এবং যথারীতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দলিত এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া লিফট প্রকল্পে ইতোমধ্যেই পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন বেদে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকল্পে পৌনে তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে জানান পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডিএমডি ড. জসিম উদ্দিন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, তাদের পেশার পরিবর্তন জরুরী। বিকল্প পেশা হিসেবে আমরা, হাঁস-মুরগি পালন, গার্মেন্টস চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রেখেছি। আসলে তারা কে, কোন্ পেশায় যেতে চায় তা জেনে আমরা তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছি। কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ৪ বেদে নারী গার্মেন্টসে চাকরি পেয়েছে। এছাড়া কিছু নারীকে আমরা সেলাই প্রশিক্ষণসহ হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য, পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসা। তারা অন্ধকার থেকে যেন বেরিয়ে আসতে পারে আমরা সে চেষ্টায় করে যাব। যদিও এটি একদিনের কাজ নয়, দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম। তবে তাদের জীবনমান উন্নয়নে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন কাজ করে যাবে বলে জানান তিনি। সহযোগী সংস্থা ‘সোশ্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটিকে (সাস) সঙ্গে নিয়ে পিকেএসএফ ঢাকার সাভারে বসবাসরত বেদে সম্প্রদায়কে নিয়ে ৩ বছর মেয়াদি একটি উদ্যোগ অক্টোবর ২০১৭ হতে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো-বিকল্প পেশায় প্রশিক্ষণ ও তহবিল সহায়তার মাধ্যমে বেদে জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বেদে খানাসমূহে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অবস্থার উন্নয়ন, বেদে যুবসমাজের আত্মোপলব্ধি ও নেতৃত্ব বিকাশে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন। এসব বিষয় বিবেচনা করে (লিফট) কর্মসূচীর আওতায় পিছিয়েপড়া অবহেলিত বেদে জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো। উদ্যোগটির আওতায় বেদে সম্প্রদায়ভুক্ত শিশু ও বয়স্কদের জন্য শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সম্প্রদায়ভুক্ত জনসাধারণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কর্ম এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের আওতায় সাধারণ স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিশেষায়িত স্বাস্থ্য ক্যাম্প, ছানি অপারেশন ও বিনামূল্যে নির্বাচিত ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুবকদের আত্মোউপলব্ধি ও নেতৃত্ব বিকাশে উদ্যোগটিতে যুব উন্নয়ন ভিত্তিক কর্মকান্ড গ্রহণ করা হয়েছে। বেদে জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমসহ আয়বর্ধনমূলক কর্মকা-ের আওতায় কর্মশালা, মতবিনিময় সভা, ইস্যুভিত্তিক আলোচনা সভা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
×