ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রে ফের অচলাবস্থা, ৫ ঘণ্টা পর সুরাহা

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রে ফের  অচলাবস্থা,  ৫ ঘণ্টা পর সুরাহা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মাত্র তিন সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অচল হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। এবার বিরোধীদল ডেমোক্র্যাট নয় খোদ রিপাবলিকান সিনেটরের বিরোধিতায় প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্রখাতে বরাদ্দ সংক্রান্ত বিলটি আটকে গেলে এ অচলাবস্থার সূচনা হয়। তবে ঘটনার মাত্র পাঁচ ঘণ্টা পর মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের মাধ্যমে এ অচলাবস্থার অবসান হয়। খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্রখাতে বরাদ্দ সংক্রান্ত ৬৫০ পাতার একটি বিল উত্থাপন করা হয় মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে। এই বিল পাসে ডেমোক্র্যাটরা বিরোধিতা না করায় স্বস্তিতে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাধ সাধেন এক রিপাবলিকান সদস্য। রিপাবলিকান সিনেটর র‌্যান্ড পল ওই বিলের বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, বিপুল অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোন কোন খাতে কী কী বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে আরও আলোচনা দরকার। এরপর যখন অন্যান্য সিনেটরা বিলের পক্ষে ভোট দেন, ততক্ষণে রাত ১২টা বেজে গিয়েছে। তাই তালা পড়ে যায় মার্কিন রাজকোষে।- খবর বিবিসি ও এএফপির। শুক্রবার সিনেটে ৭১-২৮ ভোটে এবং এরপর প্রতিনিধি পরিষদে ২৪০-১৮৬ ভোটে বিলটি পাস হয়। এর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে জানুয়ারিতে সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিবাসন প্রশ্নে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় সরকারের অর্থ বরাদ্দ বিল মার্কিন সিনেটে আটকে গিয়েছিল। যার ফলে গত ২০ জানুয়ারি থেকে ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। যদিও তিনদিন পর ফেডারেল বাজেট নিয়ে সিনেট একটি সাময়িক চুক্তিতে উপনীত হলে ওই অচলাবস্থা কেটে যায়। কিন্তু ওই চুক্তিতে মোট ১৯ দিনের জন্য ফেডারেল বাজেট বরাদ্দে সম্মত হয়েছিলেন সিনেটররা। ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে সে অর্থ বরাদ্দের সময় শেষ হয়। কিন্তু সিনেটরদের মতানৈক্যের কারণে মার্কিন কংগ্রেসে মধ্যরাতের আগে নতুন অর্থ বরাদ্দ বিল পাস হতে পারেনি। আর সে কারণেই দ্বিতীয়বারের মতো সরকার অচল হয়। সরকার অচল হলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের এ পরিস্থিতির অবসান না হওয়া পর্যন্ত বিনাবেতনে ছুটিতে থাকতে হয়। সোমবার গৃহায়ন, পরিবেশ, শিক্ষা ও বাণিজ্য বিভাগের অধিকাংশ কর্মীকে বাসায় থাকতে হয়। পাশাপাশি অর্থ, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা ও পরিবহন বিভাগের অর্ধেক কর্মী কাজে যোগ দিতে পারেন না। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, ডাক বিভাগ, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, বহির্বিভাগের রোগীদের ওষুধ, দুর্যোগ সহায়তা, কারাগার, কর ও বিদ্যুত সরবরাহের মতো জরুরী সেবাগুলো অব্যাহত থাকে।
×