ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব দেয়া হলো দন্ডিত ব্যক্তিকে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

খালেদা জিয়ার  অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব দেয়া হলো দন্ডিত ব্যক্তিকে ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ খালেদা জিয়ার রায়ের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত হলো বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হল না;বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ঘনীভূত হবে। সেটার লক্ষণ আমরা টের পাচ্ছি। তিনি শুক্রবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে বিআরটি ও গাজীপুর-এলেঙ্গা সড়কে চারলেন প্রকল্পের কাজের পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আজকে বেগম জিয়ার অনুপন্থিতিতে কাকে দায়িত্ব দেয়া হল? যার আগে ৭ বছর দন্ড হয়েছে। তিনি দন্ডিত ব্যক্তি। অপরাধী হিসেবে দন্ডিত মানি লন্ডারিংয়ের জন্য। আর এই মামলায় জরিমানাসহ ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। বিএনপি ৭ ধারাটা কেন তুলে দিয়েছে গঠনতন্ত্র থেকে? এখনতো পরিষ্কার। দুর্নীতিবাজ তাদের নেতা হতে কোন বাধা নেই। বেগম জিয়া তার অনুপস্থিতিতে যাকে দায়িত্ব দিলেন তিনি দুর্নীতির অভিযোগে দন্ডিত। তিনি আরও বলেন, এই রায় ঘোষণার আগে তড়িঘড়ি রাতের অন্ধকারে তারা তাদের বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বিসর্জন দিল, নির্বাসনে পাঠালো। এখন ৭ ধারা চলে যাওয়াতে দুর্নীতিপরায়ণের বিএনপির নেতা হতে আর কোন অসুবিধা নেই। যে কোন দুর্নীতিবাজ বিএনপির নেতা হতে পারে। এবং তারা ৭ ধারা তুলে দিয়ে সে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার বড় প্রমাণ সর্বশেষ তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন করা। বেগম জিয়ার মামলা ও রায়ের ব্যাপারে এ সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আমলে মামলাটি হয়নি। মামলাটি হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। যখন মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করার নীলনকশা হয়েছিল। সে সময় আমাদের নেত্রীও ছিলেন মাইনাস টু পরিকল্পনার ব্লুপ্রিন্টের অংশ। ওই সময় দুদক মামলাটি করেছিল। তখন আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে এবং বেগম জিয়ার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। আমাদের নেত্রী মামলার তদন্ত করে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ, তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতই সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
×