ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাজ এবং পোশাকে ফাল্গুন

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সাজ এবং পোশাকে ফাল্গুন

বসন্ত কড়া নাড়ছে দরজায়। প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন রূপে। বসন্তকে বরণ করে নিতে ফ্যাশনপ্রেমীরাও উন্মুখ। সাজে, পোশকে বসন্তকে বরণ করে নিতে তাদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। আপনিই বা সেই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন কেন। চলুন জেনে আসি কেমন হবে বসন্তে সাজ-পোশাকের ধরনটা। ফাল্গুনের দিনে পোশাকে থাকবে রঙের বিচিত্রতা। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, ফ্রক যে যাই পরুক না কেন তাতে থাকা চাই হলুদ, বাসন্তী কিংবা লাল রঙের ছোঁয়া। শুধু নারী নয়, পুরুষের শার্ট, পাঞ্জাবি বা ফতুয়ার ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার কাজ করে। আজকাল সব বয়সীরাই পোশাক-সাজ নিয়ে বেশ সচেতন থাকে। তাদের এ সচেতনতাকে কেন্দ্র করেই দিন দিন গড়ে উঠছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলো। ভিন্ন ভিন্ন রুচির কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের পোশাক। আরও আছে কাঠ, মাটি, মেটাল, পাথর, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি চুড়ি, কানের দুল, গলার মালা ইত্যাদি। পুরুষের জন্য অবশ্য এ সময় পাঞ্জাবিই সেরা। আর কর্মব্যস্ত পুরুষদের জন্য আজকাল বুটিক হাউসগুলো বাজারে এনেছে ফাল্গুন রঙা শার্ট। ঘরে-বাইরে-কর্মক্ষেত্রে সবখানেই বসন্তকালীন পোশাকের কদর দেখা যায়। ফাল্গুনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে থাকে। এলোমেলো হাওয়ার সঙ্গে উড়তে থাকে ধুলোবালি। তাই ত্বকের বিশেষ যতœ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ত্বক ভাল থাকলেই সাজগোজ করে আনন্দ পাওয়া যায়। এ সময় রোদের জন্য মুখে সানস্ক্রিন লোশন লাগাবেন সবসময়। তবে ঘরে বানানো অনুষঙ্গ দিয়ে ত্বকচর্চার বিকল্প নেই। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় যেমন মসুরের ডাল, টমেটো, শসা, লেবুর রস, মধু ইত্যাদি দিয়ে ত্বকের যতœ করা যায়। আর চুল সবসময় পরিষ্কার রাখা দরকার। এতে চুল পড়বে কম এবং ভাঙবে না কিংবা চুলে রুক্ষভাব দেখা দেবে না। যারা শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তারা কামিজ কিংবা এক রঙের লেগিংসের সঙ্গে কুর্তা পরতে পারেন। কুর্তার নক্সায় এবার ফুলেল মোটিফ প্রাধান্য পেয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেল, সুতি ও লিনেনের কাপড়ে হ্যান্ডপেইন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, টাইডাই, ব্লকপ্রিন্ট, এ্যাম্ব্রয়ডারি এবং ছাপা নক্সার কুর্তাগুলোই বেশি চলছে। এ ছাড়া ফ্যাশন হাউস নগরদোলায় পাবেন ব্লকপ্রিন্ট করা লেগিংস। হলুদ কুর্তা অথবা কামিজের সঙ্গে নানা উজ্জ্বল রং দিয়ে তৈরি ওড়না কিনছে অনেকে। যা একরঙা কামিজ বা কুর্তার সঙ্গে বেশ মানিয়ে যাবে। অর্থাৎ, কামিজ বা কুর্তার নকশার চেয়ে ওড়নাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েও হতে পারে এবারের ফ্যাশন। এতে আপনার খরচও হবে কম আর ফ্যাশনেও আসবে নতুনত্ব। এবার তারা ফাল্গুনের সংগ্রহে কিছু কটি রেখেছেন, যা কুর্তা এমনকি পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গেও পরা যাবে। আদিবাসী ধাঁচের কাপড় দিয়ে প্যাঁচওয়ার্কের নক্সায় পোশাক তৈরি করা হয়েছে। আর শাড়িতে থাকছে ব্লকপ্রিন্ট ও টাইডাই। ব্লাউজের রঙে বৈপরীত্য আনা হয়েছে এবারের ফাল্গুনের পোশাকে। এবারের সাজ হবে অন্যবারের তুলনায় কিছুটা ভিন্নধর্মী। লালটিপ, কাচের চুড়ি আর মাটির গয়না নয়, বরং মেকআপ, গয়না-সবকিছুতেই থাকবে হাল ফ্যাশন ট্রেন্ডের ছোঁয়া। শীতের আমেজ যেহেতু পুরোপুরি চলে যায়নি, তাই পোশাকের মতো মেকআপেও ব্যবহৃত হবে উজ্জ্বল রং। ঠোঁট সাজাতে পারেন লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা বা বাদামি রঙে। চোখে গ্লিটার ব্যবহার না করে যে কোন এক রঙের ম্যাট বা পাউডার আইশ্যাডো দিয়ে ওপরে টেনে আইলাইনার লাগালে ভাল দেখাবে। চুল খুলে অথবা বেঁধেও রাখতে পারেন। তবে স্টাইলটা হওয়া চাই আধুনিক। শাড়ির সঙ্গে চুলে ফুল গুঁজতে চাইলে গাঁদার বদলে বেছে নিতে পারেন অন্য কোন ফুল।
×