ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাহা ইসলাম

বসনে বসন্ত...

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বসনে বসন্ত...

কোকিলের ডাকাডাকি আর পাতাঝরা গাছ জানান দিয়ে যাচ্ছে শীতের সমাপ্তি। মফস্বল এলাকায় শীতের দাপট কিছুটা থাকলেও রাজধানী ঢাকা এখন বসন্তবরণে ব্যস্ত। কয়েকদিন পরেই পহেলা ফাল্গুন। পহেলা ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের শুরু। আর বসন্ত উদযাপনে চাই ট্রেন্ডি পোশাক। পহেলা ফাল্গুন নিয়ে আবহমান বাংলায় রয়েছে নানা সংস্কৃতি। সাহিত্যের নানা শাখায়ও পহেলা ফাল্গুন বা ঋতুরাজ বসন্তকে নিয়ে রয়েছে নানা রচনা। কবির ভাষায় পহেলা ফাল্গুন ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।’ বাংলার সংস্কৃতির ধারায় পহেলা ফাল্গুনে এখন দেশীয় পোশাকের প্রতিষ্ঠান বা ফ্যাশন ডিজাইনাররাও বিশেষ পোশাকের রং ও নক্সা করে থাকেন। এসব পোশাকের রঙে ও নক্সায় পহেলা ফাল্গুনের প্রকৃতির উপস্থাপন দেখা যায় ভিন্ন মাত্রায়। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, পোশাক বা খাবারের মাধ্যমেই যে কোন জাতির পরিচয় উপস্থাপন হয়। এর মধ্যে পোশাক অন্যতম মাধ্যম। সেজন্যই আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আদলে পোশাক তৈরি করে থাকি। আগে ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে পোশাকের ব্যবহার খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু এখন দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউসই ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে পোশাক তৈরি করছে। পহেলা ফাল্গুনকে সামনে রেখেও অনেক ফ্যাশন হাউসের পোশাক দেখা যায়। এটা আমাদের এক ধরনের সাংস্কৃতির বিপ্লব এবং এর জন্য দেশীয় ফ্যাশন হাউস এবং ফ্যাশন ডিজাইনাররাই বেশি ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের সংস্কৃতিকে আমরাই টিকিয়ে রাখব। আর পোশাক সংস্কৃতির অন্যতম বাহক। সেজন্যই আমরা সব সময়ই ঋতুভিত্তিক পোশাকের রং ও নক্সা করে থাকি। এছাড়া বসন্তকে বলা হয় ঋতুর রাজা। তাই বসন্তে বা পহেলা ফাল্গুনে বরাবরই আমরা নতুন নক্সার পোশাক তৈরি করে থাকি। পহেলা ফাল্গুনকে ঘিরে এর মধ্যেই দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো এনেছে নানা রং ও নক্সার পোশাক। বসন্তকে ঘিরে পোশাকগুলোতে বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করা হয় কাপড়ে বৈচিত্র্য আনার জন্য। ব্লক ও প্রিন্টের শাড়িতে করা হয়েছে কাঁথা, চুমকি ও গ্লাসের কাজ। অনেক পোশাকে করা হয়েছে মেশিন এ্যাম্ব্রয়ডারি, হ্যান্ড এ্যাম্ব্রয়ডারি সঙ্গে সিকোয়েন্স ও স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ। আর পোশাকের রঙে রয়েছে বাসন্তি, লাল, সাদা, সবুজ ও নীল গোল্ডেন, লাইম গ্রিনসহ উজ্জ্বল সব রংকে বেছে নিয়েছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস। বিভিন্ন রঙে উজ্জ্বল হয়েছে প্রতিটি ফাল্গুনের পোশাক। দেশীদশের ফ্যাশন হাউস রং, নগরদোলা, অঞ্জন’স, কে-ক্র্যাফট, বিবিয়ানা, সাদাকালো, নিপুণ, দেশাল ও বাংলার মেলা পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে এনেছে বাহারি সব রং ও নক্সার পোশাক। এসব পোশাকের রঙে প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ রং ও বসন্তের নানা রঙের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এছাড়াও ফ্যাশন হাউস নবরূপা, অন্যমেলা, নিত্য উপহার, কারুপল্লী মেঘসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে পোশাক এনেছে। দেশীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান আড়ং বরাবরের মতো এবারও পহেলা ফাল্গুনে নানা রং ও নক্সার পোশাক এনেছে। এসব ফ্যাশন হাউস পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে এনেছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক। অনেক ফ্যাশন হাউস একই রং ও নক্সার পোশাক এনেছে কাপলদের জন্য। আবার অনেক ফ্যাশন হাউস কাপলদের সঙ্গে মিল রেখে শিশুদের জন্য ও পহেলা ফাল্গুনের পোশাক এনেছে। অর্থাৎ পরিবারের সবার জন্যই একই রং ও নক্সার পোশাক কেনা যাবে অনেক ফ্যাশন হাউস থেকে। ফাল্গুনের শাড়ির দাম পড়বে ১ হাজার ২৫০ থেকে ৪ হাজার ৫০০, সালোয়ার-কামিজ ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, ফতুয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০, পাঞ্জাবি ১ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, ফতুয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ এবং শিশুদের পোশাক ৭০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা। মডেল : অন্তু করিম ও বৃষ্টি ছবি : রঙ বাংলাদেশ
×