ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে রায়ের আগে উত্তেজনা ॥ রায়ের পর বিএনপি নিশ্চুপ

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রাজশাহীতে রায়ের আগে উত্তেজনা ॥ রায়ের পর বিএনপি নিশ্চুপ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজশাহীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে কিছুটা উত্তাপ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও রায় ঘোষণার পর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রাজশাহীতে পুলিশী বেষ্টনীর মধ্যে নগরীর ভুবন মোহন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। রায় ঘোষণার পর সেখানেই পুলিশ বেস্টনীতে সংশ্লিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচী শেষ করেছে বিএনপি। বেলা পৌনে ৪ টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করে তারা নীরবে ফিরে যান। মহানগরীর মালোপাড়ার কাবিল ম্যানশনে থাকা মহানগর নিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়া দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নেতৃত্ব দেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। এ ছাড়া ছাত্রদল ও যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে, রায়কে ঘিরে সহিংসতা সৃষ্টি হলে তা ঠেকাতে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর ও গৌরহাঙ্গা রেলগেটসহ প্রতিটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কোথাও কোথাও মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। আবার দলে দলে বিভক্ত হয়ে কাভার্ডভ্যানে করেও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের ঘুরতে দেখা গেছে। তবে রাজশাহীর কোথাও কিছু ঘটেনি। জননিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজশাহীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে। রায় ঘোষণার পর নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। এ সময় মিষ্টি বিতরণও করা হয়। এ ছাড়া নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে মহানগর পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নগরীর কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, সকাল থেকে মহানগরীর প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও জানান মহানগর পুলিশের এই মুখপাত্র। জেলার সব উপজেলাতেই আওয়ামী লীগ ছিল শক্ত অবস্থানে। পুলিশী অবস্থান ও কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনী গড়ে তোলায় সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করলেও রায় ঘোষণার পর কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি। অনেক উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোন প্রতিবাদী তৎপরতাও দেখা যায়নি। রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী জানান, জেলার কোন থানা এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবুও রায় পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে সব থানায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
×