ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ শাহদাতসহ আটক ১৩

খালেদা জিয়ার রায়ে প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রাম বিএনপিতে

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

খালেদা জিয়ার রায়ে প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রাম বিএনপিতে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের মধ্যে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। রায় ঘোষণার পর রহস্যজনক ভূমিকায় সংগঠনটির নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। শুধু মহানগর বিএনপি’র নাসিমন ভবনের কার্যালয়ের সামনে ছাড়া অন্য কোথাও খালেদা জিয়ার পক্ষে কেউ কাজ করেছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত। চট্টগ্রামে এখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা কি চেয়ারপার্সন হিসেবে খালেদা জিয়াকে চান না? নাকি মূল উৎপাটনে নীরবতা। কারণ নাসিমন ভবনের সামনে সাহস দেখিয়ে কোন নেতাকর্মী এমনকি মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ শাহদাত হোসেন ছাড়া আর কেউ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগে মাঠে নামার চেষ্টা করেনি। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ শাহদাতসহ ১৩ জনকে আটক দেখানো হয়েছে কোতয়ালী থানায়। এদিকে, মাঠ পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বাহিরের মাঠে তথা যেখানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ করছে সেখানে অবস্থান করেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তারা গোপন অবস্থান থেকে বেশকিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে। এসময় পুলিশ ডাঃ শাহদাত হোসেনকে খোঁজ করলেও আটক করতে পারেনি। পরে নাসিমন ভবনের নিচতলায় এক মিডিয়াকর্মীকে মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। এর কিছু সময় পরই প্রিজনভ্যান ও পিকআপে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে আটক করে কোতয়ালী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এই ঘটনা হলেও আড়াইটায় যখন বিএনপি প্রধানের ৫ বছরের ও তার ছেলেসহ মোট ৫ জনের ১০ বছরের কারাদ- ঘোষণা করা হয় এরপরও তেমন প্রতিক্রিয়া ছিল না নাসিমন ভবনের সামনে থাকা নেতাকর্মীদের মাঝে। জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট নিয়ে ৯০’র দশকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় খালেদা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ জজ ৫ম আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। মাত্র ২০ মিনিটে ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সারাংশ পড়ে শোনান বিজ্ঞ বিচারক। এসময় মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে বয়স ও মর্যাদার বিষয় চিন্তা করে ৫ বছরের ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ বাকি ৬ জনের ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত এবং এই ৫ জনকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার জিয়ার ছেলে ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজি সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। এদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত।
×