ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইরাকী মিলিশিয়াদের দৃষ্টি এখন রাজনৈতিক ক্ষমতার দিকে

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইরাকী মিলিশিয়াদের দৃষ্টি এখন রাজনৈতিক ক্ষমতার দিকে

ইরাকী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি এ মাসে ইরানী-সমর্থিত মিলিশিয়া নেতার সঙ্গে এক অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। মে মাসের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আবাদি যে মহাজোট গঠন করেছেন তাতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বদর সংগঠনের প্রধান হাদি আল-আমিরী। খবর ইন্টারনেটের। এ জোট ইরাকের রাজনৈতিক দিক থেকে একটা দ্রুত কঠোর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাদি ঐতিহ্যগতভাবে আমিরীর রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে এবং পাশ্চাত্যের সরকারগুলো তাকে একজন জাতীয়তাবাদী বলে বিবেচনা করে। আবাদি ও আমিরী কয়েকদিন আগে পরস্পরের বিরুদ্ধে তিরস্কার ও ক্ষোভপূর্ণ অভিযোগ এনেছেন। এর একদিন আগে প্রস্তাবিত জোট ভেঙ্গে গেলে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের অন্যান্য দেশের সরকারগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয় কেন্দ্রীয় সরকার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এ কথা ভেবে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত রাইয়ান ক্রোকার বলেছেন, এ অঞ্চলের জন্য এ জোট ইরানের এক মহাকৌশল হয়ে উঠবে বলে আমি ধারণা করেছিলাম। ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার তথাকথিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) প্রশ্ন মুখ্য হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালে পরে প্রতিষ্ঠিত পিএমএফ মিলিশিয়াদের একটি শিথিল সমাবেশ যা দেশটিতে আইএস পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র মেজর এড্রিয়ান র‌্যানকাইন-গ্যালোওয়ে বলেছেন, কয়েকটি পিএমএফ রয়েছে যেমনÑ ক্রিশ্চিয়ান পিএমএফ, ইয়াজিদী পিএমএফ ও শিয়া পিএমএফ। ইরানে এ পিএমএফগুলোর কোন শাখা নেই। বর্তমানে দেশটির অধিকাংশ স্থানে সক্রিয় লড়াই হ্রাস হয়ে আসলেও এ মিলিশিয়া ইউনিটগুলোর মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে ইরাকী বাহিনীর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
×