ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরবেন ১৫ ফেব্রুয়ারি

ইফাদ সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী রবিবার ইতালি যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইফাদ সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী রবিবার ইতালি যাচ্ছেন

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোমভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গবর্নিং কাউন্সিল সভায় যোগ দিতে আগামী রবিবার ইতালি সফরে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী সে সময় পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় নিয়ে কোন বিদেশী কূটনীতিক প্রতিক্রিয়া দেখাননি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী রবিবার ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আগামী ১২-১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি ও ভ্যাটিকানে সরকারী সফর করবেন। ইফাদের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হাউংবো প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির ৪১তম গবর্নিং কাউন্সিল সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তিনি জানান, ১৯৭৪ সালে বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত আর্থিক সংস্থা হিসেবে ইফাদ প্র্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি মূলত কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে। এবারের বার্ষিক কাউন্সিল সভায় ইফাদের সদস্য দেশসমূহ কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন ও উদ্ভাবনী সমাধানের উপায় বের করতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলোচনা করবে। এছাড়াও, এই সভায় পল্লী, যুব উন্নয়ন এবং নারীর অধিকতর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ইফাদের সভায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর মূল প্রবন্ধে কৃষিক্ষত্রে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন। গ্রামীণ যুবশক্তির উন্নয়নে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্ব এবং পল্লী জনগণের ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকারের ভূমিকার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোকপাত করবেন। জাতীয় পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি এই সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ বাস্তবায়নে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিফলিত হবে বলে আমরা আশা করছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩০ বছর যাবত ইফাদ বাংলাদেশের পল্লী জনগণের ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে নানামুখী প্রকল্প ও কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর ইফাদের সর্বপ্রথম প্রকল্পটি ছিল বাংলাদেশে,যা ১৯৭৮ সালে নেয়া হয়। সংস্থাটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীতে প্রায় ৭৮২ মিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং স্বল্পসুদ ও সহজশর্তে ঋণ দিয়েছে। এর ফলে দেশের ৪ কোটিরও অধিক জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। আসন্ন ইফাদ গবর্নিং কাউন্সিল সভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও জোরদার ও মজবুত হবে বলে আশা করা যায়।
×