ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাল্টা আইনী ব্যবস্থার হুমকি আরসিবিসির

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পাল্টা আইনী ব্যবস্থার হুমকি আরসিবিসির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে পাল্টা আইনী ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি)। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত পেতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে ঘোষণা দেয়। এর একদিন পরই বৃহস্পতিবার এই প্রতিক্রিয়া জানায় তারা। ডেইলি মেইলের খবরে আরসিবিসির বিবৃতি তুলে ধরা হয়। তথ্য অনুযায়ী, আরসিবিসি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছি। তারা আরসিবিসির ওপর দোষ চাপিয়ে মানুষকে অন্ধকারে রেখেছে, ৮১ মিলিয়ন সাইবার হামলার পেছনে তাদেরই হাত আছে। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ‘ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়’ এই বাগধারাকে মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আরসিবিসি। এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করবে। পক্ষে থাকবে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। আর আসামি করা হবে আরসিবিসিকে। মামলা করার বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান সংবাদ সম্মেলন করেও এ তথ্য জানান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি মেসেজে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে। আরেক আদেশে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয় ২ কোটি ডলার। শ্রীলঙ্কায় পাঠানো অর্থ ওই এ্যাকাউন্টে জমা হওয়া শেষ পর্যন্ত আটকানো গেলেও ফিলিপাইনের ব্যাংকে যাওয়া অর্থের বেশিরভাগই ক্যাসিনোতে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে এক ক্যাসিনো মালিক দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় আরসিবিসিকে ২০ কোটি ডলার জরিমানা করেছে ফিলিপিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জরিমানার ওই অর্থ তারা পরিশোধ করলেও বাংলাদেশকে তার পাওনা অর্থ ফেরত দিতে তারা অস্বীকৃতি জানায়। আরসিবিসি বলছে, এই আত্মসাত বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকেই হয়েছে এবং তারাই এর জন্য দায়ী। তারা দাবি করে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অপরাধ গোপন করেছে।
×