ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বর্জ্য অপসারণে বদলে যাচ্ছে সৈয়দপুরের দৃশ্যপট

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বর্জ্য অপসারণে বদলে যাচ্ছে সৈয়দপুরের দৃশ্যপট

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ৮ ফেব্রুয়ারি ॥ ময়লা আছে ...ময়লা। বাঁশি বাজিয়ে পৌর পরিচ্ছন্নতা কর্মীর এ ডাকে সাড়া দিয়ে গৃহকর্ত্রীরা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে। এভাবে প্রতিদিন সৈয়দপুর শহরের বর্জ্য অপসারণ হচ্ছে। ফলে এভাবে পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হচ্ছে সৈয়দপুর। প্রতিদিন এমন দৃশ্য দেখা যায় পৌসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। বেসরকারী সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশন ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় চলছে এ কার্যক্রম। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশি বাজিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করছে। এ জন্য সংস্থাটি ৩৮৭টি বিশুদ্ধ পানির টিউবঅয়েল, ৪১টি টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে দরিদ্র মহল্লায়। পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণের জন্য ১৬শ’ ময়লা রাখার পাত্র, ১২ শ’ কন্টেনার, ৫টি ভ্যান, ৩টি হ্যান্ড ট্রলি, ১ ভ্যাকুট্যাগ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরাপত্তা উপকরণ প্রদান করেছে পৌর কর্তৃপক্ষকে। সুত্র জানায়, খুব ভোরেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শুরু করেন বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রমে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ মেট্রিক টন বর্জ্য জমা হচ্ছে। পৌরসভার ২ টি ভ্যাকুট্যাগ ও ৫ টি মিনি ট্রাকে এসব বর্জ্য নির্দিষ্ট ভাগাড়ে অপসারণ কাজ করছে ২৫০ পরিচ্ছন্নকর্মী। এর সর্বক্ষণিক তদারকি করছেন মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সৈয়দপুর পৌরসভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় আরো যান্ত্রিক গাড়ি আমাদের অতি প্রয়োজন। আমাদের কাজে সর্বাত্মক নিদের্শনা দেয় মেয়র মহাদয়। সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, পরিবেশ সম্মতভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য কন্টেনারের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহের বিষয়ে সকলের সাড়া দিচ্ছে। এর জনসচেতনতায় সমাবেশ ও পথনাটক প্রদর্শন হয়েছে। মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন। তাই পরিচ্ছন্নতায় সফলতা আসছে। এসকেএস ফাউন্ডেশনের সৈয়দপুর প্রকল্প সন্বয়কারী নজরুল ইসলাম দফাদার বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মকা-ে অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতা করছে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি পরিচ্ছন্নতায় সর্বাধিক সহায়তার। এ নিয়ে সৈয়দপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, প্রতিটি বসতবাড়ি, অফিস, বাজার ও দোকানপাটের আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে বা কন্টেনারে ময়লা ফেলার সচেতনতায় শোভাযাত্রা, উঠানবৈঠক, সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাইকিং করা হচ্ছে। এমনকি, মসজিদের ইমাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষকদের এ সংক্রান্ত প্রচারে সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। তাই আশা করছি, দ্রুত এ পৌরশহর পরিচ্ছন্নতায় মডেলে পরিণত হবে।
×