ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টেকনোলজিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি ॥ জিকো

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

টেকনোলজিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি ॥ জিকো

আনন্দকণ্ঠ : মিডিয়ায় শুরুটা কি ভাবে হয়েছিল? জিকো : আমি ডিজিটাল ফিল্মের ওপর পড়ালেখা করেছি লন্ডনে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে মিডিয়ায় আমার ক্যারিয়ার শুরু করি। পড়ালেখার পাশাপাশি চ্যানেল এস নামে একটি টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লন্ডনে কাজ করতাম। পড়ালেখা শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে এসে নাইনটিন ফিল্ম নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান করি যা এখনও আছে। আনন্দকণ্ঠ : মিডিয়ায় কাজ করার অনুপ্রেরণা কি ভাবে পেলেন? জিকো : ছোটবেলা থেকেই আমি থিয়েটার করতাম। কলেজে পড়া অবস্থায় ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এইচএসসি পাস করার পর পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে চলে যাই। তখন কোন অনুপ্রেরণা ছিল না। তবে পড়তে গিয়ে মিডিয়ার প্রেমে পড়া। আনন্দকণ্ঠ : আপনি বলছিলেন ছোটকালে ব্যান্ড করতেন, এখনও কি মিউজিকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত? জিকো : মিডিয়ায় যেহেতু কাজ করতাম তাই এ মাধ্যমের সঙ্গে মিউজিকটা বেশ সংযুক্ত ছিল এ কারণে তখন টুকটাক কাজ করতাম। কিন্তু এখন আর ব্যান্ড মিউজিক করা হয় না। ব্যান্ড সদস্যরা একেকজন একেক জায়গায় চলে যায়। সবাই সবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত। যার কারণে আর নিয়মিত হয়নি। আনন্দকণ্ঠ : মিডিয়ায় কাজ করার ক্ষেত্রে কোন রকমের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কি? জিকো : যে কোন কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাধাবিপওি থাকবে। মিডিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে একটা বাধা আছেই। সবাই মিডিয়াকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। টেকনোলজির দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এখনও আমরা পুরনো সব টেকনোলজি ব্যবহার করছি। প্রথম দিকে অনেক বাধা ছিল। তবে এখন নতুন নতুন টেকনোলজি আসছে। সব কিছুই ক্রমগতভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। আনন্দকণ্ঠ : আপনি তো পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত? জিকো : হ্যাঁ আমি একটি নাটক পরিচালনা করেছি। মূলত আমার বেশি করা হয় ডকুমেন্টারি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। বেশ কিছু ডকুমেন্টারি পরিচালনা করেছি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন চিত্রগ্রাহন করি এবং নির্মাণও করি। সম্প্রতি কিছু কাজ করেছি যা প্রচারের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া বাংলাদেশের বহু বিজ্ঞাপনে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছি। আনন্দকণ্ঠ : সম্প্রীত আপনার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। এ চলচ্চিত্রে আপনার নিজের জীবনের ব্যক্তিগত কোন ঘটনা কি প্রভাব রেখেছেন? জিকো : যে কোন কাজে প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত প্রভাব থাকে। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে আমার ব্যক্তিগত জীবনের চেয়েও আমার আশপাশের মানুষের জীবনযাত্রা থেকে অনুপ্রেরিত হয়েছি। আনন্দকণ্ঠ : কেন বিদেশী দিয়ে চরিত্রায়ন করেছেন? জিকো : বিদেশী দিয়ে চরিত্রায়ন করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের টিমের মধ্যে এখনও কোন কাজ বিদেশী দিয়ে হয়নি। যেহেতু অন্য কাজের জন্য বিদেশে যাই। তাই ওখানে বসে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির কথা ভাবা হয় এবং খুব অল্প সময়েই কাজটি সম্পন্ন করি। আনন্দকণ্ঠ : সমসাময়িক ব্যস্ততা কি নিয়ে? জিকো : সামনে ওয়েব সিরিজের কিছু কাজ করব তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ফিচার ফিল্মের গল্পের কাজ চলছে। এসব ঘিরেই এখন ব্যস্ততা।
×