ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে শেষ আটে পিএসজি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে শেষ আটে পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দিনকয়েক আগে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নেইমার। ফরাসী কাপে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাকে খেলানোর কথা ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। এতে হয়ত কিছুটা সমস্যা হতো! কিন্তু সেটাও বুঝতে দেননি এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ভর করে শেষ ষোলোর ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল সোচেয়াক্সকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। পিএসজির হয়ে অপর গোলটি করেন উরুগুয়েন তারকা এডিনসন কাভানি। প্রতিপক্ষের মাঠ স্টাডে অগাস্টে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে অতিথি পিএসজি। প্রথম মিনিটেই ডান দিক থেকে কিলিয়ান এমবাপের বাড়ানো ক্রসে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে এই এগিয়ে থাকাটা বেশিক্ষণের জন্য ছিল না। ১২ মিনিটে হাফ ভলিতে গোল করে স্বাগতিক সোচেয়াক্সকে সমতায় ফেরান ফরাসী মিডফিল্ডার ফ্লেরেন মার্টিন। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলে খেলা। ২৬ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় পিএসজি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ফরাসী ডিফেন্ডার লেইভিন কুরজাওয়ার গোলমুখে বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়াতেই জালে পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। ৪১ মিনিটে থিয়াগো সিলভার হেড পোস্টে বাধা পেলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি। বিরতির পর মুহুর্মুহু আক্রমণে সোচেয়াক্সকে চেপে ধরে পিএসজি। চার মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ডি মারিয়া। ৫৭ মিনিটে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাট্টির পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান বাড়ান ডি মারিয়া। ৬১ মিনিটে ডান পায়ের শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। ২০১০ সালের পর এটি মারিয়ার প্রথম হ্যাটট্রিক। ৭৭ মিনিটে আরও একটি গোল করার সুযোগ পান ডি মারিয়া। ছয় গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলে আর ব্যবধান বাড়েনি পিএসজির। ম্যাচের ৯০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পিএসজি গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ। এ সময় পিএসিজ কোচ উনাই এমেরি রাইট ব্যাক দানি আলভেসকে দাঁড় করিয়ে দেন গোলপোস্টে। মানে ডিফেন্ডার আলভেস গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। আগেই তিন খেলোয়াড়কে বদল করে ফেলায় আর কাউকে মাঠে নামানোর সুযোগ পাননি পিএসজি বস। যে কারণে মাঠে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যেই কাউকে গোলপোস্টে দাঁড় করাতে হতো। এক্ষেত্রে এমেরি বেছে নেন আলভেসকে। ওই সময় ফ্রিকিকে কোন সমস্যা হয়নি পিএসজির। প্রতিপক্ষের নেয়া ফ্রিকিক রক্ষণ দেয়ালে বাধা লেগে সামনে চলে আসে। এরপরই রেফারি শেষ বাঁশি বাজান। ফলে গোলপোস্টে দাঁড়ালেও একবারও বল ধরতে হয়নি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে। স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের আগুন খেলা পরের সপ্তাহে। ওই ম্যাচের আগে দলের সেরা তারকাদের ফিট রাখতে চেষ্টা করছে পিএসজি। এ কারণেই নেইমারকে খেলাননি কোচ। তার লক্ষ্যটা সফল হয়েছে। সুযোগ পেয়ে আট বছর পর হ্যাটট্রিক করেছেন ডি মারিয়া। এতে দারুণ উচ্ছ্বসিত উনাই এমেরি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে আমি দারুণ খুশি। সে স্কোয়াডে কিংবা প্রথম একাদশে থাকতেই পারে। তবে আমি মনে করি এটা ডি মারিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। খুব বেশি পরিবর্তন আমার চোখে পড়েনি। সে এমন খেলোয়াড়ই। ডি মারিয়া পিএসজির খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। নতুন বছর আসতেই দারুণ কার্যকর ডি মারিয়া। গত ১০ ম্যাচের নয়টিতেই গোল পেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। বিশ্বকাপের আগে নিজের ফর্মটাকে সঠিক জায়গায় রাখছেন। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের মতো আরও একবার জ্বলে উঠতে চান পরিশ্রমী এই ফুটবলার।
×