ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সারাদেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সারাদেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, বিজিবি মোতায়েন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আজ ৮ ফেব্রুয়ারি। রায় ঘোষণার দিনটিকে ঘিরে জনমনে উত্তেজনা, আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, কৌতূহলের মধ্যে নজিরবিহীন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছাদিত এখন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। রায় শুনতে আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া। আদালতের চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুই কারাগারসহ সম্ভাব্য কারাগার ঘোষণার মাধ্যমে ভিআইপি কক্ষ তৈরি করাসহ নানা ধরনের প্রস্তুতিগ্রহণ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আদালত, কারাগার, রাজপথ, রেলপথ, নৌপথ, স্পর্শকাতর স্থাপনা, জানমাল রক্ষার্থে ও নিরাপত্তার জন্য রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারাদেশের নিরাপত্তা থাকছে নজিরবিহীন। সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রায় শুনতে যাবেন খালেদা জিয়া আদালতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বকশীবাজারের বিশেষ আদালতের নিরাপত্তা ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে বকশীবাজার এলাকার বিশেষ আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার আগের দিন বুধবার দুপুরে বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে গিয়ে দেখা যায় র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা। কারা অধিদফতরের মাঠ সংলগ্ন এই আদালত প্রাঙ্গণের বিভিন্ন অংশে সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেখা যায় র‌্যাব সদস্যদের। গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদেরও পৃথকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেখা যায়। এ দিকে সকাল থেকেই আদালত এলাকায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তৎপরতা দেখা যায়। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারাও আদালতগুলোর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা প্রস্তুতির তদারকি করেন। র‌্যাব- ১০ এর কর্মকর্তা এএসপি মাসুদ রানা বলেন, অস্থায়ী এই আদালত ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা ঘনঘন টহল দিচ্ছেন এবং সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করছেন। টহল শেষ করে কর্মকর্তারা আদালত চত্বরে ঢুকে দায়িত্বরত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের পরবর্তী নির্দেশনাও দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রায়ের দিন বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালত, পুলিশ, আইনজীবী, বাদী, বিবাদীদের ছাড়া অন্য কারও প্রবেশাধিকার থাকবে নিষিদ্ধ। আদালতে প্রবেশের সময়ে সবাইকে দেহ তল্লাশি করে পরিচয়পত্র দেখে আদালতের ভেতরে যেতে দেয়া হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে থাকছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ॥ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ২০ প্লাটুন, সিরাজগঞ্জে ৩ প্লাটুন, বগুড়ায় ৩ প্লাটুন, নারায়ণগঞ্জে ৩ প্লাটুন, নোয়াখালীতে ১ প্লাটুন, লক্ষ্মীপুরে ১ প্লাটুন, চাঁদপুরে ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিজিবি সদর দফতর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী শহরে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ টহল চলছে। প্রয়োজনে আরও বিজিবি মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে। রায়কে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র‌্যাব, দাঙ্গা পুলিশ, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশির পাশাপাশি মহাসড়কে কড়া নজরদারি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থলপথ, নৌপথে নানা ধরনের নিরাপত্তা তৎপরতা শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালে তল্লাশি চলছে। রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, জানমালের ক্ষতি না হয়, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করেছে। যে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করা হবে-পুলিশ প্রধান ॥ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দুর্নীতি মামলার রায় উপলক্ষে সারাদেশে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কোন গোষ্ঠী বা দল বা ব্যক্তি যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাদের কঠোরভাবে তা দমন করা হবে। তবে আশা করছি, তেমন কিছুই হবে না। বুধবার পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বললেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী। তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। যা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যাতে কোন কিছুই না হয়, এ জন্য নেয়া হয়েছে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। গ্রহণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ঢাকা মহানগরীসহ সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলাসহ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে। আইজিপি বলেন, আশা করছি তেমন কিছুই হবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তারপরও যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার অবনতি করার অপচেষ্টা করা হয়, তাহলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের তা দেখা হবে না। আইনগতভাবে যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে। পুলিশ কঠোরভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে। কোন অবস্থাতেই এ ধরনের অপচেষ্টা সহ্য করা হবে না। কোন গুজবে কান না দিয়ে অথবা ভীত না হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার অনুরোধ জানান তিনি। কোথাও সন্দেহজনক কোন কিছু পরিলক্ষিত হলে নিকটস্থ পুলিশকে অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন। এবার গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গত এক সপ্তাহে গড়ে ৫৯জন করে বেশি গ্রেফতার হচ্ছে। যারা গ্রেফতার হচ্ছে, তারা কোন না কোন মামলার আসামি বা সন্ত্রাসী। একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না- ডিএমপি কমিশনার ॥ ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কেউ সহিংসতা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। কেউ শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সহিংসতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে কোন ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে ডিএমপি বদ্ধপরিকর। এ জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য পুলিশী যত কৌশল রয়েছে, সবকিছুই নেয়া হয়েছে। সরকারের সব সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নাগরিকের নিরাত্তায় হুমকি তৈরি করতে পারবে না। সেজন্য যা কিছু আইনী পদক্ষেপ নেয়া দরকার, তা নেয়া হয়েছে। গণগ্রেফতারের কোন ঘটনা নেই। তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্ট এলাকায় প্রিজনভ্যানে হামলার ঘটনায় পুলিশের কাস্টডি থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, সাতজন পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফিল্মি স্টাইলে ফ্লাইং কিকসহ পুলিশকে শত শত লোক পেটাচ্ছে। এর ১৫ দিন আগেও হাইকোর্টের মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর নির্বিচারে ইট-পাটকেল মারা হয়েছে। অনেক গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। সেই ফুটেজ মোতাবেক হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপির তরফ থেকে হামলাকারীরা অনুপ্রবেশকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন ভাষ্য মিথ্যা। কারণ ভিডিও ফুটেজ মোতাবেক হামলাকারীরা বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। প্রযুক্তি মিথ্যা বলতে পারে না। ভিডিও ফুটেজ মিথ্যা বলতে পারে না। গ্রেফতারকৃতরাও অকপটে সবকিছু স্বীকার করেছে। র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খানের বক্তব্য ॥ র‌্যাবও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তল্লাশি অভিযান, টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বস্তি যাতে নষ্ট না হয়, তাদের মধ্যে যেন আতঙ্ক তৈরি হতে না পারে, সে চেষ্টা অব্যাহত আছে। ঢাকা পরিবহন সমিতি ॥ ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনয়েত উল্লাহ জানান, রাজধানীর চার টার্মিনালের ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিক তাদের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে। হামলার বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ ॥ পুলিশ সদর দফতর থেকে বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপার এবং মহানগর পুলিশ কমিশনারদের কাছে নির্দেশনার চিঠি গত সপ্তাহে। রায় ঘিরে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ’ সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে সেই চিঠিতে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো, পুলিশ বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, গণপরিবহনে হামলা-অগ্নিসংযোগ, সরকারী- বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিদ্যুতকেন্দ্র ও রেলপথেও হামলার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। খালেদার বিপক্ষে রায় গেলে ॥ রায় বিপক্ষে গেলে বিএনপি সমর্থকরা ঢাকায় জড়ো হয়ে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশির পাশাপাশি রাজধানীতে নিরাপত্তা চৌকির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকা মহানগরী এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সব ধরনের মিছিল জমায়েত নিষিদ্ধ করার কথা মঙ্গলবারই জানিয়েছিল পুলিশ। গাজীপুর ও নরায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জসহ ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ, সন্দেহ হলেই যানবাহনে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণায় দোষী সাব্যস্ত হলে এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। বিএনপি হুমকি দিয়েছে রায় বিপক্ষে গেলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারিও তারা দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও রায়ের দিন মাঠে থাকার ঘোষণা দেয়ায় তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। দুই প্রধান দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলছে সাধারণ মানুষের মনে। খালেদা জিয়ার সাজা হলে যেখানে রাখা হতে পারে ॥ যদি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা হয় তাহলে তাকে রাখতে দুটি কারাগারে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার পুরনো কারাগার ও কাশিমপুরের মহিলা কারাগার। কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভিআইপি কক্ষ ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। খালেদা ছাড়াও আরও ভিআইপি মহিলা বন্দী আসতে পারেন এমন ধারণায় কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ডিভিশন সেলটিও প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যদিকে তিন-চার দিন আগে থেকেই পুরনো কারাগারের মহিলা ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু হয়েছে। দেয়ালে দেয়া হয়েছে হালকা রং। একটি বাথরুমও তৈরি করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে লাইট ও ফ্যান। নতুন একটি খাটও যুক্ত করা হয়েছে সেই ওয়ার্ডে। পুরনো কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডটি তিন তলা। নিচতলায় রাখা হতো কয়েদি ও বাচ্চাসহ মায়েদের। দোতলায় ডে-কেয়ার সেন্টার। তিনতলায় তিনটি কক্ষ রয়েছে একটিতে পার্লার, একটিতে টেইলার্স এবং অন্যটিতে মহিলা ভিআইপি বন্দীদের রাখা হতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা সূত্র আরও জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের আগে ভবনটির তিনতলায় মহিলা ভিআইপি বন্দীদের রাখা হতো। মহিলা ওয়ার্ডে ভিআইপি বন্দী থাকার মতো সুযোগ-সুবিধা আছে। খালেদা জিয়ার সাজা হলে তাকে কারাগারের যে ভবনটিতে রাখা হতে পারে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একজন পুরুষ ডেপুটি জেলার ও আরেকজন নারী ডেপুটি জেলারের নেতৃত্বে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন কারারক্ষীরা। বাইরে থাকবে পুলিশ ও র‌্যাবের পাহারা।
×