ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জানুয়ারিতে ৩৮ প্রতিষ্ঠানকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জানুয়ারিতে ৩৮ প্রতিষ্ঠানকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য

পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত জানুয়ারি মাসে পরিবেশ অধিদফতর পরিচালক (মনিটরিং এ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) ৩৮টি দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে শুনানি শেষে মোট ১ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলার নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান যেমন- ডাইং, ওয়াশিং, বোর্ড মিল, প্রিন্টিং নিটিং কারখানা, ভুষির মিল, পাওয়ার জেনারেশন, মার্সেরাইজিং, ব্যাটারি কারখানা, ফোম ও প্লাস্টিক কারখানা, ইটভাঁটি ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ ব্যতীত/ তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বন্ধ রেখে ত্রুটিপূর্ণ ইটিপির মাধ্যমে কারখানা পরিচালনার মাধ্যমে তরল বর্জ্য সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করতে দেখা যায়। এছাড়া পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতীত কোন কোন কারখানা, ইটভাঁটি পরিচালনা করতে দেখা যায়। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ দূষণের জন্য নোটিসের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদফতর, সদর দফতরের এনফোর্সমেন্ট উইং-এ তলব করে শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি অন্তে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আরোপ করা হয়। তাছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চল কার্যালয়, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা গবেষণাগার হতে প্রেরিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকেও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়। কারখানাগুলোকে ক্ষতিপূরণ আরোপের পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইটিপি নির্মাণ, ইটিপি থাকলে তা সর্বক্ষণিক কার্যকরভাবে চালু রেখে তরল বর্জ্যের মানমাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী নির্ধারিত মানমাত্রার মধ্যে রেখে সঠিকভাবে ইটিপি পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করা হয়।-বিজ্ঞপ্তি
×