ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চা নিয়ে গবেষণায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চা নিয়ে গবেষণায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের উপস্থিতিতে টি রিসার্স ইনস্টিটিউট, চাইনিজ একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সাইন্সেস এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী এবং টি রিসার্স ইনস্টিটিউট, চাইনিজ একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সাইন্সেসের পরিচালক প্রফেসর ইয়াজুন ইয়াং। চায়ের জন্মস্থান চীন। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জাতের এবং ধরনের চা চীনে প্রস্তুত হয়ে থাকে। ফলে এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের চা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। বাংলাদেশের চা গবেষণা জাতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপনীত হতে সমর্থ হবে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে উভয় দেশের চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ হবে। সংকর জাতের চা গাছ উদ্ভাবন, চায়ের পোকা মাকড় দমনের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, চা তৈরি, চায়ের প্রাণরসায়ন, চায়ের গুণগতমান উন্নয়ন, আধুনিকায়ন এবং চা অর্থনীতির ওপর উভয়পক্ষের মধ্যে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে চা বিষয়ক প্রযুক্তি বিনিময় করা হবে। এ ছাড়া উভয় দেশের চা বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। চা শিল্পের উন্নতির জন্য উন্নত দেশসমূহের চা গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়া জরুরী। কারণ বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত চায়ের চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি উন্নত গুণগত মানসম্পন্ন চা, গ্রীন টি, অর্থোডক্স টি, হোয়াইট টি এবং ওলং টি এসব চায়ের চাহিদা দেশের বাজারে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা থেকে চীনে চকলেট, বিভিন্ন পানীয়, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে চাজাত এসব পণ্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উৎপাদন করা যাবে। এর ফলে আভ্যন্তরীণ চা বাজারের সম্প্রসারণ ঘটবে এবং বিদেশে চাজাত পণ্যের রফতানির সুযোগ তৈরি হবে।
×