ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণের বইমেলা

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রাণের বইমেলা

বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে ছোট পরিসরে ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তধারা’ প্রকাশনী বইমেলার যে উদ্যোগ শুরু করেছিল সময়ের আবর্তনে আজ তার পরিধি বিস্তৃত করে চলেছে অমর একুশে বইমেলা। প্রতিবছর পরিসর বড় হচ্ছে, নতুন প্রকাশনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু নতুন নতুন পাঠক কি আমরা সৃষ্টি করতে পারছি? কিংবা বলা চলে পাঠকদের আমরা ধরে রাখতে সফল হচ্ছি? বইমেলায় লোক সমাগম বেড়েছে বিগত কয়েক বছরে। কিন্তু পাঠক সমাগম সেই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। নিত্যনতুন প্রযুক্তির এ যুগে মানুষের মনকে নতুন বইয়ের গন্ধ নাড়া দিতে পারছে না। একাডেমিক পড়াশোনার চাপেই হোক কিংবা বিনোদনের অন্যান্য মাধ্যমের কারণেই হোক বই পড়ার প্রবণতা শিশু কিশোরদের ভেতর উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। অথচ বই মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করে, মনকে করে উদার। লেখকের ভাবনাগুলো যখন পাঠকের মনকে উপলব্ধি করতে শেখায় জীবনের অন্য এক মানে খুঁজে পাওয়াকে, তখন একজন মানুষ তার অন্য এক সত্ত্বাকে খুঁজে পায়, আত্মা হয় পরিশীলিত। অন্যদিকে প্রকাশনার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বই এর মূল্য বৃদ্ধিতে পাঠক হ্রাস পাচ্ছে। তাই আজকাল অনেকেই বই না কিনে পিডিএফ এর দিকে ঝুঁকছে। তাতে হয়তো বইয়ের লেখা পড়া হচ্ছে কিন্তু বই এবং লেখকের ভাবনার সঠিক রস আস্বাদন করতে আমরা সক্ষম হচ্ছি কি? স্মার্টফোনে পিডিএফ পাঠের সময় নানান বিজ্ঞাপন কিংবা সোশ্যাল এ্যাপস এর বার্তা আমাদের পাঠের মনোযোগের বিঘœ ঘটায়, ফলে আমরা লেখার ভেতর ডুবে যেতে চেয়েও কোথায় গিয়ে যেন আটকে যাচ্ছি। তাই আমাদের চেষ্টা করা উচিত কিছুটাকা ব্যয় করে হলেও বই কিনে পড়া। তবেই না আমরা জ্ঞানের প্রকৃত স্বাদ পাব। লেখকের ভাবনাগুলোর সঙ্গে নিজের মনের সুপ্ত ভাবনাগুলোকে একাত্ম করে নিতে পারব। শান্তিবাগ, ঢাকা থেকে
×