ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন ট্রাম্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন ট্রাম্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যত বাধার মুখে পড়তে পারে। ২০২০ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে মূলত চলতি বছর থেকে। এ বছর নবেম্বরে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবে কিনা তার ওপর ট্রাম্পের ২০ সালের নির্বাচনে সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করছে। এএফপি। কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে যায়। বিশেষ করে রিপাবলিকান পার্টির ক্ষেত্রে এটি বেশি হয়। বর্তমানে হোয়াইট হাউস ছাড়াও কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে দলটির প্রাধান্য রয়েছে। নবেম্বরের নির্বাচনে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ছাড়াও রিপাবলিকান পার্টিরই অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দলটি। ২০১৭ সালের শেষের দিকে ট্রাম্প কংগ্রেসের মাধ্যমে কর সংস্কারের কাজে হাত দেন। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এই কাজে অনেক দেরি করে ফেলেছেন। চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে এক বছর পূর্তি তিনি এমন সময় উদযাপন করতে যাচ্ছেন যখন উত্তর কোরিয়া, ইরান ও অভিবাসী ইস্যু ছাড়াও বর্ণবাদ ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে তিনি বেশ জটিল অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পলিটিক্সের প্রধান ল্যারি সাবাটো মনে করেন, চলতি বছরটি হবে ডেমোক্র্যাটদের বছর। নবেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তারা কংগ্রেসের উভয়কক্ষে ভাল ফল করবে বলে জনমত জরিপগুলোতে আভাস পাওয়া গেছে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল হিস্ট্রির গবেষক এ্যালান লিচম্যান মনে করেন, কংগ্রেসের কিছু আসনের সীমানা নতুন করে নির্ধারিত হতে পারে, এই বিষয়টি রিপাবলিকানদের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক খবর। তারা আশা করতে পারে যে তারা পুরোপুরি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হারাবে না। ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান সঙ্গীরা আশা করছেন কর সংস্কারের মাধ্যমে করের বোঝা কমানোর যে উদ্যোগ তারা নিয়েছেন নির্বাচনে তার ইতিবাচক ফল তারা পাবেন। তবে ট্রাম্পে ব্যক্তিগত জনসমর্থন নিম্নমুখী হওয়া এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত ডেমোক্র্যাটদের বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরাও তা মনে করেন। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে ডেমোক্র্যাটরা দুই বছর সময় পাবে। এ নির্বাচনে খারাপ ফল হলেই যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল অনুরূপ হবে সেটি অবশ্য বলা যায় না। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময়ে ১৯৯৪ সালে এবং বারাক ওবামার সময়ে ২০১০ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দল হতাশাজনক ফল করলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্লিনটন বা ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে উতরে যেতে সমস্যা হয়নি।
×