ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট খেলতে মাশরাফিকে সবুজ সঙ্কেত ইয়াংয়ের

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

টেস্ট খেলতে মাশরাফিকে সবুজ সঙ্কেত ইয়াংয়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যারিয়ারে অনেকবারই শৈল্যবিদের ছুরির নিচে যেতে হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। তার সফল অস্ত্রোপচার করে ক্যারিয়ারটাকে প্রলম্বিত করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সার্জন ডেভিড ইয়াংয়ের। বিশ্বের অনেক নামীদামী ক্রিকেট তারকার অস্ত্রোপচার করেছেন তিনি। তবে মাশরাফিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘ক্রিকেট খেলাটা ছেড়ে দাও!’ সেই পরামর্শে কান না দিয়ে মাশরাফি দু’পায়ে ঠিকমতো দাঁড়িয়েই মাঠে নেমে গেছেন এবং নিয়মিত খেলেছেন ওয়ানডে ও টি২০ ক্রিকেট। তবে দীর্ঘ পরিসরের টেস্টে আর ফেরা হয়নি ২০০৯ সালের পর, কারণ ৪/৫ দিনের ম্যাচ খেলার মতো যথেষ্ট ফিটনেস নেই। সম্প্রতিই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রয়োজনে টেস্টে খেলতে প্রস্তুত। এবার তার শৈল্যবিদ ইয়াংও এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলেন। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির আমন্ত্রণে এসেছেন ডেভিড ইয়াং। আর এসেই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ছুটে এসেছেন তার পুরনো রোগীদের দেখতে। বিশেষ করে মাশরাফি ছিলেন এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া শাহাদাত হোসেন, নাজমুল হোসেন ও আবুল হাসান রাজুদেরও অস্ত্রোপচার করেছেন তিনি। বিসিবিতে এসে ইয়াংয়ের মঙ্গলবার দেখা হয়েছে মাশরাফির সঙ্গে। টি২০ থেকে অবসর নেয়া মাশরাফি এখনও ওয়ানডে খেলে যাচ্ছেন। তবে সম্প্রতিই তিনি টেস্ট ক্রিকেটেও ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যার প্রতিউত্তরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দাবি করেছিলেন, ‘টেস্ট খেলার জন্য যে শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজন সেটা নেই মাশরাফির। তিনি চাইলে টি২০ দলে যে কোন সময় ফিরতে পারেন।’ কিন্তু পাপনের কথাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন ইয়াং। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি এমন একজন পেশাদার এ্যাথলেট যে পুরোপুরি দেশ ও ক্রীড়ার প্রতি নিজেতে উৎসর্গ করেছে। আমি সত্যিই সন্তুষ্টি নিয়ে বলতে পারি যে তার ক্যারিয়ারে আমার সংশ্লিষ্টতা যৎসামান্যই। কয়েক বছর আগে ইনজুরিতে আমি সহায়তা করেছি। তার হাঁটুতে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। কিন্তু এতটাই ক্রীড়ার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এ্যাথলেট সে, যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে চমৎকারভাবেই ক্যারিয়ার এগিয়ে নিচ্ছে। আমি মনে করি সবদলেরই একজন ভাল নেতার প্রয়োজন। তিনি সবসময়েরই নেতা এবং টেস্ট দলে তার জন্য নিশ্চিতভাবে সবসময় একটা জায়গা আছে। অন্য দলগুলোর আওতাধীন যেমন সুপারস্টার আছে তার তেমন সেরা খেলোয়াড় হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তার মতো নেতার অবশ্যই প্রয়োজন একটি দলের এবং এই মানুষটিকে নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয় এই প্রশ্নে (টেস্ট দলে খেলার বিষয়ে) আমার উত্তর অবশ্যই হ্যাঁ!’
×