ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রায় ঘোষণার দিন খালেদার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন হবে ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রায় ঘোষণার দিন খালেদার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন হবে ॥ তোফায়েল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যা যা করা দরকার তারা তাই করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর হস্তে তা দমন করবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক চুক্তিসই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চাইনিজ একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তিসই হয়। ওই সময় তিনি বলেন, রায় ঘোষণার দিন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী রাস্তায় নামবেন না। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা খালাসও পেতে পারেন আবার সাজাও হতে পারে। এটা আদালতই ভাল বলতে পারবেন। এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবে ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। বিএনপি-জামায়াত জোটের ২০০১-২০০৬ মেয়াদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলার প্রধান আসামি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ- হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বেন। রায় কী হবে কেউ জানে না মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যার মামলার রায় হবে সেই মামলায় তিনি খালাসও পেতে পারেন আবার সেই মামলায় অন্য কিছু হতে পারে। এটা বিচারাধীন একটা মামলা, এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, এখানে কারও কোন হস্তক্ষেপ নাই। সুতরাং আগেই বিএনপি যদি ধরে নেয় তার সাজা হবে, আমরাই যদি ধরে নেই তার সাজা হবে এটা বাস্তবসম্মত না, যেহেতু আমরা জানি না (রায়) কী হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি একটা মামলা মোকদ্দমার বিষয়ে, একটা কোর্টের বিষয়ে কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কারোরই দাঁড়ানো উচিত না, কোর্ট তার ন্যায়বিচার করবে, সেই ন্যায়বিচারের মাধ্যমে রায় হবে। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের মধ্যে কোন টেনশন আছে কি-না এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাকে দেখলে কি মনে হয় কোন টেনশন আছে? আমরা অত্যন্ত ভাল অবস্থানে আছি। দুইটা বছর ২০১৬-১৭ বিএনপি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে (বিএনপি) কোন অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে নাই এবং আগামীতেও তারা করবে না। সুতরাং রাষ্ট্র ভালভাবে চলবে, মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ভাল হবে। মামলায় হাজিরা শেষে খালেদা জিয়ার ফেরার সময় বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকদের পুলিশের ওপর হামলার কঠোর সমালোচনা করেন তোফায়েল আহমেদ। সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কি ধরপাকড়ের শিকার হয় নাই? এসব তো এখন ঘটছে না। যারা পুশিলের গাড়ি ভেঙ্গেছে, পুলিশকে আক্রমণ করেছে, আসামি ছিনতাই করেছে, তাদের বিরুদ্ধে স্পেসেফিক কেস হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হয়তো পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে আর না করে। অথচ বিএনপি মহাসচিব দায় স্বীকার না করে নিজদলের কর্মীদের বহিরাগত সন্ত্রাসী বলছেন।
×