নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ জামালপুর-সরিষাবাড়ী রেলপথের বাউসি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ফুলবাড়িয়া এলাকায় রাস্তার রেলওয়ের লেভেলক্রসিংয়ে ধলেশ্বরী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে একটি যাত্রীবাহী নছিমনগাড়ি লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রেললাইনে আটকা পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নছিমন গাড়ির চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায়। দুর্ঘটনার পর জামালপুর-সরিষাবাড়ী রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ট্রেনের যাত্রী সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের আছমা আক্তার জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে ট্রেন থেমে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পড়েন। তিনিও তার সহযাত্রী স্বজনদের নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। পরে তারা লেভেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখতে পান একটি নছিমনগাড়ি ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় ভেঙে গেছে। নছিমনের চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, ট্রেনটির ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়নি। তবে ইঞ্জিনের পরের তিন নম্বর বগিটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
লালমনিরহাটে ট্রেন ট্রাক সংঘর্ষে আহত ১৫
নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, থেকে জানান ॥ লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সান্তাহারগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে পাথর বোঝাই ট্রাকের সংর্ঘষ ঘটে। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ম-লেরহাট রেল ক্রসিং গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের ১৫ যাত্রী আহত হয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, পাথর বোঝাই একটি ট্রাক ম-লেরহাট রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় পিছন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনটি ধাক্কা মারে। এতে ট্রাকটি বিকট শব্দে ডালা ভেঙ্গে ছিটকে পড়ে যায়। ট্রাকের মূল অংশ রেল লাইনের ওপর ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে থাকে। তবে ট্রেনের চালক তাৎক্ষণিক ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন। এতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ১৫ ট্রেন যাত্রী তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে।
চট্টগামে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকা-
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মুরাদপুর এলাকায় একটি প্লাস্টিক দ্রব্য তৈরির কারখানায় অগ্নিকা-ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এন মোহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। রবিবার গভীর রাতে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পর আগ্রাবাদ, বায়েজিদ, চন্দনপুরা, কালুরঘাট স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি গাড়ি পাঠানো হয়। সোমবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ময়মনসিংহ
স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ থেকে জানান, সোমবার ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডে সাড়ে পাঁচ হাজার শীতের কম্বল ও আসবাবসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় এসব কম্বল কেনার পর জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে মজুদ রাখা হয়েছিল। শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা পরিষদের ত্রাণ তহবিল থেকে এসব কম্বল কেনা হয়। অগ্নিকাণ্ডে কম্বল ছাড়াও বিভিন্ন কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা, কম্পিউটার, ফটো কপিয়ার, প্রিন্টার, ইউপিএসসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: