ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয় দিয়ে শুরু আবাহনীর, গাজী-দোলেশ্বরের হার

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জয় দিয়ে শুরু আবাহনীর, গাজী-দোলেশ্বরের হার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরুতেই অঘটন। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে নবাগত দল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও ১০ বছর পর ফেরা অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব জয় দিয়ে শুরু করেছে। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৮ উইকেটে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে এবং রানার্সআপ প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর। অগ্রণীর জয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল সৌম্য সরকারের অপরাজিত ৮৯ রানের আর শাইনপুকুরের হয়ে জোড়া অর্ধশতক হাঁকান আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শুভাগত হোম। তবে দারুণ জয়ে শুরু করেছে আবাহনী লিমিটেড। সমঝোতায় দলে পাওয়া দুই ক্রিকেটার- পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা (৩ উইকেট) ও ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৮৬*) দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। আর তাতেই সোমবার শুরু হওয়া ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে (ডিপিএল) জয় দিয়ে শুভসূচনা করেছে শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনী। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে তারা ৯ উইকেটে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে। আবাহনী-খেলাঘর (বিকেএসপি ৪) টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মাশরাফির পেস তোপের মুখে বিপর্যয়ে পড়ে খেলাঘর। দলীয় ৪১ রানে যে ৩ টপঅর্ডারকে হারায় তারা শিকার ছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেসের। অমিত মজুমদার ৩৭ ও মইনুল ইসলাম ৪৩ রানের দুটি ভাল ইনিংস খেলাতে সম্মান কিছুটা বাঁচে খেলাঘরের। তবে সানজামুল ইসলাম ও সাকলাইন সজীবের ঘূর্ণিতে গুটিয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি তাদের। ৪১ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানে শেষ হয় খেলাঘরের ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, সানজামুল ও সাকলাইন। জবাব দিতে নেমে মাত্র ২৫.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলে ৯ উইকেটের বড় জয় পায় আবাহনী। অনুর্ধ-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান ৪৯ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরলেও বিজয় ও নাজমুল হাসান শান্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। বিজয় মাত্র ৭৩ বলে ৬ চার, ৫ ছক্কায় ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। স্কোর ॥ খেলাঘর ইনিংস- ১৫৪/১০; ৪১ ওভার (মইনুল ৪৩, অমিত ৩৭, নাফিস ১৯; মাশরাফি ৩/২৩, সাকলাইন ৩/২৬, সানজামুল ৩/২৭)। আবাহনী ইনিংস- ১৫৫/১; ২৫.২ ওভার (বিজয় ৮৬*, সাইফ ৩৯, শান্ত ২৩*; ম্যানেরিয়া ১/২১)। ফল ॥ আবাহনী ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মাশরাফি বিন মর্তুজা (আবাহনী)। গাজী গ্রুপ-অগ্রণী ব্যাংক (বিকেএসপি ৩) জাতীয় দলে ব্যস্ত থাকায় বেশ কয়েকজন বড় তারকাকে ছাড়া মাঠে নামতে হয়েছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গাজীকে। ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক আর কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ছাড়া নেমে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে লজ্জার পরাজয় বরণ করেছে তারা। টস জিতে আগে গাজীকে ব্যাটিংয়ে পাঠালে তারা ৪৬.১ ওভারে ১৭৬ রানেই গুটিয়ে যায়। ওপেনার মেহেদী হাসান সর্বোচ্চ ৪১, শফিউল হায়াত ৩৩ ও রজত ভাটিয়া ৩১ রান করেন। শাহবাজ চৌহান ৩টি এবং আলআমিন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও সৌম্য ২টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৩৯.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৮ রান তুলে জয় পায় অগ্রণী। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া সৌম্য ১২২ বলে ৭ চার, ৪ ছক্কায় ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন। এছাড়া রিফাতউল্লাহ ৮৮ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। স্কোর ॥ গাজী গ্রুপ ইনিংস- ১৭৬/১০; ৪৬.১ ওভার (মেহেদী ৪১, শফিউল ৩৩, রজত ৩১; শাহবাজ ৩/৩১, রাজ্জাক ২/২৭, আলআমিন ২/২৭, সৌম্য ২/২৭)। অগ্রণী ব্যাংক ইনিংস- ১৭৮/২; ৩৯.৩ ওভার (সৌম্য ৮৯*, রিফাতউল্লাহ ৫৫*; মেহেদী ২/২৭)। ফল ॥ অগ্রণী ব্যাংক ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সৌম্য সরকার (অগ্রণী ব্যাংক)। প্রাইম দোলেশ্বর-শাইন পুকুর (ফতুল্লা) ফতুল্লায় টস জিতে শাইনপুকুর আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দোলেশ্বরকে। মার্শাল আইয়ুব ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ৯৪ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৭৪ রান করেন তিনি। এছাড়া শাহানুর রহমান ৩২ রান করেন। ৭ উইকেটে মাত্র ১৮৮ রান করতে সক্ষম হয় দোলেশ্বর নির্ধারিত ৫০ ওভারে। দুটি করে উইকেট নেন সুজন হাওলাদার ও শুভাগত হোম। জবাবে ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারালেও আফিফ-শুভাগত চতুর্থ উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়লে সহজ জয় পায় শাইনপুকুর। আফিফ ৪৬ বলে ৬ চার, ২ ছক্কায় ৫৬ এবং শুভাগত ৭৬ বলে ৬ চার, ১ ছক্কায় ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩০.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তুলে জয় পায় শাইনপুকুর। স্কোর ॥ দোলেশ্বর ইনিংস- ১৮৮/৭; ৫০ ওভার (মার্শাল ৭৪, শাহানুর ৩২; সুজন ২/২৮, শুভাগত ২/৩২)। শাইনপুকুর ইনিংস- ১৮৯/৫; ৩০.৩ ওভার (শুভাগত ৫৮, আফিফ ৫৬, সাব্বির হোসেন ৪১; শাহানুর ১/১৫)। ফল ॥ শাইন পুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শুভাগত হোম (শাইনপুকুর)।
×