ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘বই পড়ি স্বদেশ গড়ি’ প্রত্যয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘বই পড়ি স্বদেশ গড়ি’ প্রত্যয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘বই পড়ি স্বদেশ গড়ি’ প্রত্যয়ে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০১৮’ পালিত হয় সোমবার। টেকসই আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গ্রন্থাগারের ভূমিকার কথা বিবেচনা করে এ দিবসের ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদফতর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিসচিব মোঃ ইব্রাহীম হোসেন খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রন্থ আমাদের কাছে জ্ঞানের মণিমুক্ত হাজির করে। এ কারণেই আমরা বই পড়ি। আমাদের দেশে বইয়ের কদর বেড়েছে। এজন্য আমি হুমায়ূন আহমেদকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তিনি দেখিয়ে গেছেন কেন বই পড়তে হবে। আমরা দেশের প্রতিটি স্কুলে বন্ধ হয়ে যাওয়া লাইব্রেরিকে পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছি। খুব শীঘ্রই এটা বাস্তবায়ন হবে। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বই পড়ার কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আমরা একটা গ্রন্থ দিবস পেলাম। এটা খুবই আনন্দের কথা। দিবস পেলে প্রত্যেকেরই মনের ভেতর শক্তি ও সঙ্ঘবদ্ধতা আসে। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে বই। লাইব্রেরি একটা সরোবরের মতো, যেখানে সব জ্ঞান এসে একত্রিত হয়। জ্ঞান যত মানুষ কাছে নিতে পারে, পৃথিবীর ভবিষ্যত ততোই আলোকিত ও উজ্জ্বল হবে। আমি মনে করি পাঠকরাই পৃখিবীর পরিবর্তনকারী। যা পড়ে মানুষ নিজেকে অতিক্রম করে, তাই হচ্ছে বই। আমরা ভাবি, ৫টি ইন্দ্রিয় দিয়ে পৃথিবীকে গ্রহণ করি। কিন্তু কোন ইন্দ্রিয় দিয়ে বইয়ের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে চোখে থেকে মননে, সেখান থেকে জীবনের মধ্যে যায়। মনন সবার মধ্যে নাই। মানবতার অমর আলোক থাকে বইয়ের মধ্যে। বই না পড়লে তা হবে না। বই পড়লে হৃদয় বড় হয়। সবার মিলিত চেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে আলোকিত করতে পারব গ্রন্থাগারের মাধ্যমে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বই পড়ে আমরা জ্ঞানের জায়গা প্রশস্ত করতে পারি। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করা যায় বই পড়ার মাধ্যমে। ভালবাসায় সমাজ গড়তে চাইলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ লাগবে। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য জ্ঞানভিত্তিক সমাজের বিকল্প নেই। সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সবার কাছে বই ছড়িয়ে দিতে হবে। আলোচনার পর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কানাডিয়ান শিল্পী চার্লস প্যাকটারের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন ॥ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে শুরু হয়েছে কানাডীয় বহুমাত্রিক শিল্পী চার্লস প্যাকটারের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। ঢাকার কানাডীয় হাই কমিশন ও কমুনিটি অব আর্টস ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত এ প্রদর্শনীর সহযোগিতা করেছে জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে ১৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত মঁসিয়ে বেনোয়া প্রেফন্তে, শিল্পী চার্লস প্যাকটার, কালিদাশ কর্মকার প্রমুখ।
×