ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের আলোচনা

উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা একজন পরীক্ষিত প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর নেতৃত্বেই দেশে উন্নয়ন বয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের পথে বাংলাদেশ, হয়ে উঠেছে উন্নয়নের মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা ওয়াদা করেন তা পূরণ করেন। গভীরে গিয়ে খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে তিনি যে কোন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকেন। তাই উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে তাঁর কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোয়াররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ। প্রতিটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অনেক রোগের দ্রুত আরোগ্য লাভ অনেক সময় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। সঠিকভাবে রোগ নিরাময় করতে দরকার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। অনেক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাই যে কোন মূল্যে হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবায় সরকারীভাবে সহায়তা প্রদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে নামমাত্র খরচে অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিদিন দেশে দেড় কোটি ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছে সরকার। বিনা টাকায় এমন চিকিৎসাসেবা বিশ্বের কোথাও নেই। চার হাজার চিকিৎসক ও দশ হাজার নার্স ইতোমধ্যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও দশ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম দফায় নিয়োগ দেয়া হবে প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসক। তিন হাজারের বেশি নার্স নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ৪০ হাজার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীও নিয়োগ দেয়া হবে। দেশের ৯৯ ভাগ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিসেবার ব্যবস্থা। বর্তমানে প্রতি মাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। দেশে অনুর্ধ ১২ মাস বয়সের শিশুদের সকল টিকা প্রাপ্তির হার ৮১ ভাগ। বিদ্যমান অবকাঠামোর যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান সারাবিশ্বের অনুকরণীয় হতে পারে। পুরোদমে এগিয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম। মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট কম্পিউটার। গ্রাম এলাকার প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সব পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে। অবশেষে পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। পোলিওর পর নির্মূল হয়েছে ধনুষ্টঙ্কার রোগ। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের বিষয়টি মনে রেখে দায়িত্ববোধ দিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মতো অন্য দেশের চিকিৎসকরা স্বল্প সময়ে এত রোগী দেখেন না। এদেশের চিকিৎসকরা ধৈর্যশীল ও দক্ষ। নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়েই দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে হবে। এ্যাম্বুলেন্সগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ্যাম্বুলেন্সগুলো কারও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি, জরুরী ভিত্তিতে রোগী বহনের জন্য দেয়া হয়েছে। স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের সকল চিত্র দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ।
×