ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

ফাল্গুনের আগাম আবহ পাওয়া যাচ্ছে ঢাকায়। ফাল্গুনের প্রথম দুটি দিন ঢাকা বরাবরই দারুণ মেতে ওঠে। প্রথম দিন বসন্ত আবাহন এবং দ্বিতীয় দিন বিশ্ব ভালবাসা দিবসে যেন বাঁধভাঙা জোয়ার দেখা যায় ঢাকায়। তার নানামুখী প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। গতকাল থেকে ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ছয় দিনব্যাপী ‘ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইন ডে মেলা’। ভাষার মাস এবং কবিতা উৎসব ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়, সেটি অনেকেই জানি। তবে ওই দিনই যে দুদিনব্যাপী কবিতা উৎসব শুরু হয়, সেটি অনেকেই ভুলে যান। আমি ভুলি না। যত কষ্টই হোক, কিংবা থাকুক ভিন্নতর ব্যস্ততা, ওই দুটি ইভেন্ট মিস করি না। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন সন্ধ্যায় প্রথমে গিয়েছিলাম ঢাবি চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসবে। ফাঁকা একটি জায়গায় চুপচাপ বসে কবিতা শুনেছি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। দুজনেই এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, মঞ্চে গিয়ে আসন গ্রহণ করার আহ্বান জানালেন। বড় ভালো লাগলো এই প্রীতিময় আন্তরিকতা। ভেবেছিলাম অনেক কবিরই দেখা পাব, এরকম বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেখা সাক্ষাৎ হবে। ব্যস্ততা রয়েছে সবারই। একটু দমে গেলাম বেশি কবির সঙ্গে দেখা না হওয়ায়। এমনকি মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হলো যেসব পূর্বনির্ধারিত কবিদের, তাদেরও অর্ধেক অংশ অনুপস্থিত থাকলেন। ত্রিশ বত্রিশ বছর আগে ফিরে গিয়েছিলাম চট করে। তখন অবশ্য টিএসসির সড়কদ্বীপে হতো কবিতা উৎসব। সব বিশিষ্ট কবিরাই আসতেন, শুধু আসতেন না স্বৈরাচারী সরকার প্রধান এরশাদের সঙ্গে এশীয় কবিতা উৎসবে যোগদানকারী কবিবৃন্দ। তাঁরা নিষিদ্ধ ছিলেন। মঞ্চ আলোকিত করে আসন গ্রহণ করতেন সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, মোহাম্মদ রফিক, রুবী রহমান, রফিক আজাদ, আসাদ চৌধুরী, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণদের মতো সিনিয়র কবিরা। পাশাপাশি থাকতেন অনেক তরুণ নবীন কবি। সে সময়ে আমাদের এই সংগঠনের ভেতর সবচেয়ে কনিষ্ঠ কবি ছিলেন বোধকরি তারিক সুজাত, যিনি এখন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। উপচে পড়তো দর্শক। আহা কী আবেগ আর আনন্দ। যাঁদের নাম বললাম, তাঁদের ভেতর কয়েকজন মাত্র এখন জীবিত। তাঁদের কেউ কেউ আসেন। সেদিন কবিতা উৎসব ম-পে বসে থাকতে থাকতে ভাবলাম, কী এমন ক্ষতি হয় যদি এশীয় কবিতা উৎসবে যোগদানকারী কবিদের এখন আমন্ত্রণ জানানো হয় কবিতা পড়বার জন্যে। আল মাহমুদ যদি কবিতা পরিষদের মঞ্চে কবিতা পড়েন তাহলে ভালোই তো হবে। ওই কবিবৃন্দ তো আর একাত্তরের রাজাকার নন। আর বঙ্গবন্ধু নিজেই তো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু হত্যাকারী, ধর্ষণে, অগ্নিসংযোগে সহায়তাকারী ও লুণ্ঠক বাঙালী সন্তানদের ক্ষমা করেননি। এশীয় কবিতা উৎসবের কবিবৃন্দ তো আর সে ধরনের কোনো অপরাধ করেননি! একাত্তরে তাঁরা রাজাকারগিরিও করেননি। তাহলে এখনও, নব্বুইয়ে এরশাদের পতনের এতগুলো বছর পেরিয়েও কবিদের মধ্যে কেন থাকবে বিভাজন। জাতীয় কবিতা পরিষদ যদি কবি আল মাহমুদের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ কবিকে সম্মানতি করেন, তাহলে কিছু উগ্র ব্যক্তি হয়তো বিরোধিতা করবেন, কিন্তু সত্যিকারের কবিরা স্বস্তি ও সন্তুষ্ট বোধ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। কবিদের ভেতর দলাদলি থাকা কি ঠিক? সকল প্রকৃত কবিই আমাদের মাতৃভাষার বাহক ও পরিচর্যাকারী; তাঁরা এ মাটির সন্তান। তাঁদের ভেতর সুসম্পর্ক সৌহার্দ্য বিরাজ করা সমাজের জন্যেই স্বস্তিকর ও সুখকর। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন দেশের প্রধান সাংস্কৃতিক ঘটনা। ভাষার মাসজুড়ে জাতীয় মননের প্রতীক বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে একাডেমি প্রাঙ্গণ ও অধুনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হয়ে থাকে প্রাণের বইমেলা। লেখক-পাঠকদের প্রকৃত মিলনমেলায় পরিণত হয় মেলাটি। উদযাপিত হয় নতুন বইয়ের মহোৎসব হিসেবে। বছরের আর কোন সময় বাংলা ভাষায় এত বিপুলসংখ্যক বই প্রকাশিত হয় না। সেদিক দিয়ে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে হাজারো বইয়ের জন্ম মাস হিসেবেও অভিহিত করা চলে। চলন্ত বাসে... গত সপ্তাহেই ছিনতাই নিয়ে লিখেছি। তবু বাধ্য হয়ে আবারও এদিকে আলোকপাত করতে হচ্ছে। সাধারণত দূরপাল্লার বাসে ছিনতাই হয়, এটাকে ডাকাতি বলাই সমীচীন। রাস্তার মাঝে গাছের বিরাট গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকে বাস থামাতে বাধ্য করা হয়। তারপর চলে যাত্রীদের সব কেড়ে নেয়া। এভাবে একের পর এক কয়েকটি বাসের সব যাত্রীর মূল্যবান দ্রব্য ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাত দল সটকে পড়ে। কিন্তু ঢাকা শহরে দিনে দুপুরে যাত্রীবাহী বাসের ভেতর অভিনব কায়দায় আক্রমণ করে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা কি আগে ঘটেছে? খবরটি পড়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকি। প্রতিবেদন অনুসারে ঢাকার চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের বিবরণ এরকম : উত্তরা থেকে বায়তুল মোকাররম যাচ্ছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল ৫ লাখ টাকা, ১৭ ভরি সোনা, ২০টি মুঠোফোন ও একটি ক্যামেরা। যাত্রীবেশে একই বাসে ওঠা সাতজন যুবক তাঁদের ওপর চড়াও হন। এঁদের অসৎ আদম ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ তুলে মারধর করে সব ছিনিয়ে নেয়া হয়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত একজন ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরে রাখায় সে ছুটে যেতে পারেনি। ধরা খেয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা। ঘটেছে মালিবাগ ও পল্টন এলাকার ব্যস্ত সড়কে, যাত্রীবাহী বাসে। উত্তরা থেকে মগবাজারে বাসটি পৌঁছে দু’ঘণ্টায়। মগবাজারে এলে ওই সাত যুবকের তিনজন ছিনতাইয়ের শিকার দুই যাত্রীর কাছ থেকে ক্যামেরা ও লেন্স নিয়ে দৌড়ে বাস থেকে নেমে যান। অপর চারজন দ্রুত বাসের দরজা লাগিয়ে দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। আদম ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে মারধর শুরু করেন। পুরানা পল্টনে বাসটি পৌঁছলে যুবকরা ওই দু’জন ব্যক্তিকে মারতে মারতে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে আসেন। দেখতে দেখতে ভিড় জমে যায়। এরই মধ্যে সব কেড়ে নেয়া হয় তাদের কাছ থেকে। ব্যবসায়ী দু’জন থানায় বলেছেন, সিঙ্গাপুর থেকে ব্যবসায়ীর বন্ধু মুঠোফোন, ক্যামেরা ও লেন্স এবং সোনা পাঠিয়েছেন। সেসব শুল্ক দিয়েই বিমানবন্দর থেকে ছাড়ানো হয়েছে। কিছু সোনা ওই দুই ব্যক্তির একজনের স্ত্রীর। যাহোক, ব্যবসায়ীরা সত্য নাকি মিত্যা বলেছেন সেটি ভিন্ন বিচার। কিন্তু দলবদ্ধভাবে চলন্ত বাসে আক্রমণ করে সব ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি বৈধতা পায় না। এই ঘটনার ফলোআপ জানার জন্য আগ্রহ থাকবে। বইমেলার কড়চা ১ বইমেলা নিয়ে লেখক-প্রকাশকরা সব সময় সরব। ফেসবুকের কল্যাণে এখন সেটি আরও বেড়েছে, প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। তবে খুব কম লেখকই বইমেলার সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে লিখিতভাবে কিছু বলে থাকেন। লেখক-অধ্যাপক কামরুল হাসান একটু ব্যতিক্রম। তিনি শুধু লেখেনই না, বইমেলঅর ব্যতিক্রমী ছবি আপলোডও করেন। তার কড়চা থেকে তুলে দিচ্ছি মাসব্যাপী বইমেলার শুরুর দিককার চালচিত্র অনুধাবনের জন্য। তিনি লিখেছেন : ‘কাল ছিল মেলার দ্বিতীয় দিন। দ্বিতীয় দিনেই মেলায় চলে এলো আমার ভ্রমণগ্রন্থ ‘আমির তিমুরের দেশে’। গত বছরের মেলায় আমার প্রথম ভ্রমণগ্রন্থ ‘বিলেতের দিনলিপি’ এসেছিল একেবারে শেষে, আর দ্বিতীয়টি এলো শুরুতেই। বইটির প্রকাশক জনাব গোলাম কিবরিয়া টেলিফোনে খবর জানানোমাত্র আমি ছুটলাম মেলাপানে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দুটি দিন আবার জাতীয় কবিতা উৎসব বসে টিএসসি চত্বরের বিপরীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার লাগোয়া স্থানটিতে। ফলে আকর্ষণ থাকে দু’দিকেই। আজকের আকর্ষণ নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়া। টিএসসি, বাংলা একাডেমিমুখী সড়ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সব লোকে লোকারণ্য। বাঙালীর এই সপ্রাণ উপস্থিতি তার সংস্কৃতিকে সজীব রাখবে বহুকাল। মেলায় প্রবেশ করেই বড় বড় সব প্রকাশকের বৃহৎ বইয়ের আড়ৎ চোখে পড়ল। সুদৃশ্য সব স্টলের আলাদা অস্তিত্বের পাশে নতুন প্রকাশকদের ছোট স্টল সারি সারি গায়ে গায়ে লাগানো। যেতে যেতে দেখি একদল বিদেশী কবির সাক্ষাতকার নিচ্ছেন এটিএনএন বাংলার মেলা কভারেজ করতে আসা ভাষ্যকার। এরা এসেছেন তাইওয়ান, জাপান, ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, মিসর ও যুক্তরাজ্য থেকে। প্রত্যেকেই বইমেলার পরিসর ও লোকসমাগম দেখে তাদের বিস্ময় ও আনন্দানুভূতি প্রকাশ করছিলেন। ক্যামেরুনের কবি বললেন, ডিজিটাল যুগে মুদ্রিত বইয়ের মৃত্যু ঘটবে বলে যে আশঙ্কা সবাই করেছিল, এই বইমেলা দেখে সে আশঙ্কা দূরীভূত হলো। কলম্বিয়ার কবি বললেন সম্ভবত এটিই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সময়ের মেলা, কেননা পৃথিবীর আর কোন বইমেলা একমাস ধরে চলে না। ভাষ্যকার ভুল শুনেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন সবচেয়ে বড় বইমেলা। কবিরা যে অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন তার সারমর্ম ভাষ্যকার বাংলায় চ্যানেলটির দর্শকদের উদ্দেশ্য বলে দিচ্ছিলেন। কারুবাক স্টলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তর-পূর্ব কোণায়। সাইনবোর্ড দেখে দেখে আর পাই না। পরে মনে পড়ল নম্বর মিলিয়ে দেখি। সমুখের স্টলটির নম্বর ৬৬৫, কারুবাকের ৬৫৬, অপর পাশেই তার ছোট আয়োজন। বাংলা বাজারের ঐ দাপুটে আর বিত্তবান প্রকাশকরা ব্রাহ্মণ হলে, এরা হলেন নমঃশূদ্র। মাঝে অবশ্য কিছু ক্ষত্রিয় প্রকাশক আছেন, জৌলুস দেখে বোঝা যায়। তবে এরা সকলেই বৈশ্য। গোলাম কিবরিয়া দাঁড়িয়ে ছিলেন স্টলটির সমুখেই। আমাকে দেখে তার মুখ হাসিতে উদ্ভাসিত হলো, স্টলের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন বিক্রয়কর্মীর মুখও হাসিভরা। আমার হাতে বইটি তুলে দিলেন প্রকাশক; প্রচ্ছদ দেখেই মন ভরে গেল, যা এঁকেছেন তিনিই। নতুন বই একটি নবজাত শিশুর মতো, লেখক পিতা তাকে সাগ্রহে বুকে তুলে নেন, ঘ্রাণ নেন সে শিশুর, খুঁটিয়ে দেখে নেন চোখ-কান-মুখ সব ঠিক আছে কি না। প্রতিটি প্রকাশিত বই আসলে একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এ আনন্দ কেবল লেখক পায়। ঢাকা আর্ট সামিট বুয়েট থেকে স্থাপত্যকলায় ডিগ্রী নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন কবিতা চাকমা। সেখানেই বসবাস করছেন। ঢাকা আর্ট সামিটকে সামনে রেখে ঢাকায় এসেছেন। পাহাড়ীদের ওপর নির্যাতন নিয়ে একটি কবিতা পড়েছিলেন সেই দুই যুগ আগে কবিতা চাকমা। সেটি ভোলেননি। কবির সঙ্গে যোগাযোগ করে কবিতাটি সংগ্রহ করেন এবং ঢাকা আর্ট সামিটে আবৃত্তির জন্য সেটির ইংরেজী অনুবাদ প্রস্তুত করেন। ঢাকা আর্ট সামিটের মূল ফোকাস শিল্পকলা হলেও সেখানে অনেক বিষয়ই থাকছে। এখানে থাকছে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ভিডিও আর্ট, তাছাড়াও থাকছে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহণে মাল্টিস্টেজ পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম যা এবারের ঢাকা আর্ট সামিটের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে থাকবে। এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো শুরু হলো ঢাকা আর্ট সামিট। শিল্প এবং স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্মের জন্য বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম এই ঢাকা আর্ট সামিট (ডাস)। চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সামিটটি জনসাধারণের জন্য সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত এবং টিকেটবিহীন। এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন ৩৫টি দেশের ৩০০ এর বেশি শিল্পী; দক্ষিণ এশিয়ার কিছুটা অজানা এবং একই সঙ্গে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় শিল্পকলার উন্নয়নকে সামনে রেখে সামিটে ১২০ জনেরও বেশি বক্তার অংশগ্রহণে থাকবে মোট ১৬টি প্যানেল আলোচনা এবং ২টি সিম্পোজিয়াম। প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের জন্য সামদানী আর্ট এ্যাওয়ার্ড এবং সামদানী সেমিনার প্রোগ্রামের আয়োজন থাকবে। সামিটে এবার প্রথমবারের মতো সম্পৃক্ত হয়েছে ইরান ও তুরস্ক। বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবারের সামিটে। বাংলাদেশী ১২টি আর্টিস্ট-লেড অর্গানাইজেশন তাদের শিল্পীদের নিয়ে ঢাকা আর্ট সামিটে অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা আর্ট সামিট ২০১৮ কে সামনে রেখে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কিউরেটর, শিল্পী, লেখক, গবেষক, সমালোচকবৃন্দ বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছেন। এবার সামিটে ১২০০-এরও অধিক আন্তর্জাতিক অতিথি সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের শিল্পকর্ম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দেওয়া আর্ট সামিটের অন্যতম উদ্দেশ্য। এর অংশ হিসেবে আর্ট সামিটে থাকছে এশীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর অন্যতম পুরনো প্ল্যাটফর্ম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের ওপর একটি বিশেষ প্রদর্শনী যেখানে প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী সফিউদ্দিন আহমেদ, এম এম সুলতানসহ অন্যান্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করা হবে। এ প্রদর্শনী আর্কাইভে সহযোগিতায় আছে জাপানের ফুকোওয়াকা মিউজিয়াম এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [email protected]
×