ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা সেনানিবাস পায়রা নদীর তীরে যে কারণে-

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শেখ হাসিনা সেনানিবাস পায়রা নদীর তীরে যে কারণে-

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল থেকে ॥ প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানায় দক্ষিণাঞ্চলকে অনেকটাই অরক্ষিত এলাকা বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীতে নেই কোন সেনানিবাস। অথচ এ অঞ্চলটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় দুই’শ কিলোমিটার দূরত্বের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। এসব গুরুত্ব বিবেচনা করেই পায়রা নদীর লেবুখালী তীরে সরকার ঘোষিত ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে স্থাপিত হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের ৩১তম নতুন এ সেনানিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে বরিশালে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিল্পমন্ত্রী আলহাজ আমির হোসেন আমু বলেন, প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহতে সক্ষম প্রশিক্ষিত-পেশাদার সেনাবাহিনীর কলেবর বাড়বে। পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলে জাতীয় প্রতিরক্ষা সন্নিহিত করা হবে। এছাড়া কৌশলগত দিক থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সম্ভাব্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবেলা করাও সহজ হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় মোট এক হাজার ৫৩২ একর জমিতে নতুন সেনানিবাসটি স্থাপিত হবে। এক হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নতুন সেনানিবাস সম্পর্কে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেন, বরিশালে সেনানিবাস স্থাপন করতে হবে এ চিন্তা কারও মাথায় ছিল না। এমনকি সেনাবাহিনীর মাথায়ও ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মাথায় এ চিন্তা আসে। তিনিই একটি নতুন সেনানিবাস স্থাপনের পরামর্শ দেন। তাই তার নামেই এ সেনানিবাসের নামকরণ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি জানান, অনুমোদিত প্রকল্প এলাকায় ১৯৭৫ সাল থেকে চর সৃষ্টির মাধ্যমে এসব জমির সৃষ্টি হয়েছে। অদ্যাবধি এখানে কোন জনবসতি গড়ে ওঠেনি। ফলে ঘরবাড়ি বা স্থাপনার কোন ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের প্রয়োজন হবে না। পাঁচটি স্থানে দায়িত্ব পালন করবে এক হাজার ৬৮ পুলিশ সদস্য ॥ বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলসহ পাঁচটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে এক হাজার ৬৮ পুলিশ সদস্য। এছাড়া বরিশাল শহরকে ব্যাপকভাবে নজরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসভার দিন মেডিক্যাল ও সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে চারটি মেডিক্যাল টিম, চারটি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। রবিবার সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
×