ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১৬ মাস পর গৃহবধূর আত্মহননের জট খুলছে

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

১৬ মাস পর গৃহবধূর আত্মহননের জট খুলছে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাঘায় বিয়ের ১৬ মাস পর গৃহবধূ শর্মিঠা আত্মহননের ঘটনার জট খুলেছে। মৃত্যুর দুইমাস পর অবশেষে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার পর এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করলেও আসামিদের গ্রেফতার করছে না বলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গৃহবধূ শর্মিঠার পরিবার। শর্মিঠার বাবা সুনীল কুমার সাহা জানান, এক বছর চার মাস আগে বাঘা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা অজিত সাহার ছেলে স্কুলশিক্ষক সুকান্ত সাহার সঙ্গে তিনি তার অনার্স পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি এবং দেবরের কারণে পারিবারিক কলহে ভুগছিল তার মেয়ে। এ ছাড়াও সুকান্ত যে স্কুলে চাকরি করে সেই প্রতিষ্ঠানে তার ছোট ভাই সোমেন সাহাকে বাদ দিয়ে শর্মিঠাকে কম্পিউটার বিষয়ে চাকরিতে সুযোগ করে দেয়ায় পরিবারের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল। তিনি আরও জানান, তার মেয়ে শর্মিঠার মৃত্যুর পর শুরুতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। সে সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে থানায় মামলা করতে চেয়েছিলেন। তার ধারণা, জামাইসহ তার পরিবারের লোকজন তার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তিরের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তাই তাকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে গত ৮ জানুয়ারি রামেক হাসপাতাল থেকে শর্মিঠার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, মৃত্যুর আগে শর্মিঠাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। এতে তার শরীরের তিন জায়গায় ক্ষত হয়। এ রিপোর্ট পাওয়ার পরদিন ৯ জানুয়ারি রাজশাহীর অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন শর্মিঠার পিতা সুনীল কুমার সাহা। ওই মামলায় তিনি জামাই সুকান্ত সাহা, তার মা মলি রানী ও ভাই সোমেন সাহাকে আসামি করেন। তবে প্রায় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামিদের ধরতে পারেনি।
×