ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর থেকে তাইওয়ানে সবজি রফতানি

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

যশোর থেকে তাইওয়ানে সবজি রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যশোরের বিষমুক্ত সবজি দেশের বাজার ছাপিয়ে এখন রফতানি হচ্ছে বিদেশে। শনিবার রফতানির জন্য যশোর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ৪৮ মেট্রিক টন বাঁধাকপি। এদিন দুপুরে যশোর সদরের সাতমাইল বাজার এলাকা থেকে ৪টি ট্রাকে বাঁধাকপি লোড দিয়ে মংলা বন্দরে নেয়া হয়েছে। এই বাঁধাকপি রফতানি করা হবে তাইওয়ানে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রিফাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী মুন্নি বলেন, যশোর থেকে মংলা বন্দর দিয়ে সবজি রফতানি করা হচ্ছে। প্রথম চালান হিসেবে আমরা ৪৮ মেট্রিক টন বাঁধাকপি রফতানি করছি। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে আমরা ৯ থেকে ১২ টাকা দরে এসব বাঁধাকপি ক্রয় করেছি। শুক্রবার রাতেই সব বাঁধাকপি প্যাকেটজাত করা হয়। আর শনিবার দুপুরে মংলা বন্দরের উদ্দেশে ৪টি ট্রাকে করে এগুলো নেয়া হয়। সন্ধ্যায় মংলা বন্দর থেকে জাহাজে লোড হয়ে এগুলো যাত্রা শুরু করে তাইওয়ানের উদ্দেশে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর যশোরে প্রায় ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। চুড়ামনকাটি, বারীনগর, হৈবতপুর, কাশিমপুর, বন্দবিলা, লেবুতলা, ইছালি ইউনিয়নের মাঠজুড়ে বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম, মুলা, বেগুন, পটল, ঝিঙা, কচুর লতিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের অভাবে অনেক সময় ক্ষেতেই নষ্ট হয় ফসল। এসব দিক বিবেচনা করে বিদেশে সবজি রফতানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, দেশের মোট চাহিদার ৬৫ ভাগ সবজি উৎপাদন হয় যশোরে। গত বছর (২০১৭ সাল) থেকে যশোরের সবজি বিদেশে রফতানি শুরু হয়েছে। প্রথম বছর ১১০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিদেশে রফতানি করা হয়। এবার শুধু বাঁধাকপি ও ফুলকপি নয়, সঙ্গে রফতানি হবে করলা, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, পটল, কচুর লতিসহ বিভিন্ন সবজি। এজন্য গত বছর অক্টোবরে সদর উপজেলার ১৬২ কৃষকের সঙ্গে একাধিক রফতানিকরণ প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী কৃষকের উৎপাদিত বালাইমুক্ত ও নিরাপদ সবজি পুরো ক্ষেত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয় করবে। আগে যে ক্ষেতের সবজি কৃষক ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন, সেখানে এখন পাচ্ছেন অন্তত ৪০ হাজার টাকা। ফলে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
×