ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ দেশে জঙ্গীবাদের স্থান নেই ॥ আহমদীয়া মুসলিম জামাত

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এ দেশে জঙ্গীবাদের স্থান নেই ॥ আহমদীয়া মুসলিম জামাত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিষ্ঠুর আচরণ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। শান্তি কেবল তখনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে যখন শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ ন্যায়বিচারের আদর্শ পালন করা হয়। এ দেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। রাজধানীতে আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের ৯৪তম বার্ষিক সালানা জলসার দ্বিতীয় অধিবেশনে শনিবার দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। জলসায় বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের যুগ খলীফা হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ (আই)-এর উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, নিষ্ঠুর আচরণ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। শনিবারের জলসায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সৈয়দ আনোয়র হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সংবাদিক শাহরিয়ার কবির, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর মেসবাউল ইসলাম, সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ম-লীর সদস্য কাজল দেবনাথ, মানবাধিকারকর্মী শ্রীমতি পদ্মাবতী, কাজী রেহান সোবহান, ব্রাদার গিওম, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহসভাপতি ভেন করুনানান্দ প্রমুখ। তারা শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বলেন, এ দেশে সকলের, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার সবার রয়েছে। এ দেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। বাংলাদেশ আর পেছনে থাকবে না, সামনে এগিয়ে যাবে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুগ-খলিফার ভূমিকা বিষয়ে বক্তৃতা করতে গিয়ে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের নেতৃবৃন্দ উগ্রবাদের উত্থান প্রসঙ্গে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান খলিফার উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। তারা বলেন, মুসলমানদের কতিপয় গোষ্ঠী অবৈধ উপায় ও আত্মঘাতী বোমা ব্যবহার করে, ধর্মের নামে সামরিক ও বেসামরিক অমুসলিমদের হত্যা ও ক্ষয়-ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি নিরীহ মুসলমান ও শিশুদের পর্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তারা আরও বলেন, শান্তি কেবল তখনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে যখন শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ ন্যায় বিচারের আদর্শ পালন করা হয়। আল্লাহ যেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং নীতি নির্ধারকদের সুমতি প্রদান করেন, যাতে করে আমরা আমাদের শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজšে§র জন্য একটা শান্তি ও সমৃদ্ধশালী বিশ্ব রেখে যেতে পারি। এবারের আয়োজনে সারা দেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন ৬ হাজারের বেশি সদস্য। এ ছাড়াও নরওয়ে, ইংল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা, বাহরাইন, ভারত ও পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন বার্ষিক সালানা জলসায়।
×