ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

র‌্যাবের অভিযান

হবিগঞ্জের সাতছড়ি থেকে ১০ এ্যান্টি ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

হবিগঞ্জের সাতছড়ি থেকে ১০ এ্যান্টি ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ কঠোর গোপনীয়তায় আবারও একটি অভিযানে হবিগঞ্জের আলোচিত উপজেলা চুনারুঘাটের সাতছড়ি থেকে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এম এম এ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার উদ্ধার করল র‌্যাব। র‌্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ জানান, উদ্ধার লঞ্চারগুলো অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। তিনি আরও জানান, এই পরিমাণ লঞ্চার উদ্ধার ছাড়া আর কিছু পাওয়া না যাওয়ায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে এই অভিযান চলা ও শেষ পর্যন্ত সাতছড়ি এলাকায় সর্বক্ষণিক অবস্থান করে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মনীষ চাক্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম সামছুর রহমান ভূইয়াসহ উর্ধতন অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। র‌্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ, র‌্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ও র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার প্রেস ব্রিফ্রিংসহ নানাভাবে জানান, গোপন তথ্যানুযায়ী আগের দিন শুক্রবার রাতে সাতছড়ির জাতীয় উদ্যান এলাকায় র‌্যাবের একটি শক্তিশালী চৌকস টিম অস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার অভিযানে নামে। এসময় সংশ্লিষ্ট পাহাড়ী এলাকার চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। একই সময় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা-সদস্যরাও অবস্থান নেন। পাহাড়ী সন্নিকটস্থ সড়কও তাদের গাড়িতে ছেয়ে যায়। রাতজুড়েই চলে সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধারে তল্লাশি। এ ময় পাহাড়ী এই জনপদে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বসবাসরত পরিবারের সদস্যের মাঝে ভয় ও উৎকণ্ঠার জন্ম নেয়। অবশেষে মাটি খুঁেড় পাওয়া যায় ওইসব হাই এক্সক্লুসিভ রকেট লঞ্চার। এদিকে র‌্যাবের উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ জানান, তারপরও আরও কয়েক দফা অনুসন্ধান চালিয়ে অন্য কিছু না মেলায় অভিযান পরিসমাপ্তি ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ওই অভিযানের সফলতা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে সাতছড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে র‌্যাব। এসময় র‌্যাব উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ লঞ্চারগুলো উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা দিয়ে আরও জানান, দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনক্রমেই হবিগঞ্জের এই এলাকা ব্যবহার করে কোন বিশৃঙ্খলা বা দেশে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য তাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, জেলা প্রশাসক মনীষ চাক্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম সামছুর রহমান ভূইয়া, র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে মনিরুজ্জামান ও বিমান চন্দ্র কর্মকারসহ র‌্যাব-পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যরা।
×