ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কমনওয়েলথ গেমস- অনুশীলনে ব্যস্ত ভারোত্তোলকরা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কমনওয়েলথ গেমস- অনুশীলনে ব্যস্ত ভারোত্তোলকরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বছরের ৪-১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৭০ দেশের অংশগ্রহণে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হবে ২১তম কমনওয়েলথ গেমস। এ গেমসে বাংলাদেশ ছয় ডিসিপ্লিনে খেলোয়াড় পাঠাচ্ছে। ইভেন্টগুলো হলো : ভারোত্তোলন, শূটিং, এ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, সাঁতার ও কুস্তি। এ গেমসে ভাল ফল করার লক্ষ্যে গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে চলছে ভারোত্তোলকদের আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। বাংলাদেশ ভারোত্তোলন দলে খেলোয়াড় হিসেবে মেয়েদের ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে অনুশীলন করছেন ফুলপতি চাকমা, ৬৩ কেজিতে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, ৫৮ কেজিতে ফাহিমা আক্তার ময়না এবং ৭৫ কেজিতে জহুরা খাতুন নিশা। আর দলে একমাত্র পুরুষ হিসেবে ৬৯ কেজিতে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিমুল কান্তি সিংহ। দুই বেলার অনুশীলন ক্যাম্পে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যুৎ কুমার রায়। এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ ভারোত্তোলনে কোন সাফল্য পায়নি। তবে ২০১৩ সালে মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি রৌপ্যপদক এবং ২০১৫ সালে ভারতের পুনেতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ১টি স্বর্ণ ও ২টি রৌপ্যপদক জয় করেন সীমান্ত। ২০০৮ সালে ভারতের পুনেতে অনুষ্ঠিত যুব কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে তাম্রপদক লাভ করেন ময়না। এছাড়া ২০১১ সালে মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ফুলপতি চাকমা ও ময়না দুজনই পান রৌপ্যপদক। ওই সাফল্যগুলো পুঁজি করে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে ভাল করার চেষ্টায় অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পে থাকা ভারোত্তোলকরা। ভারোত্তোলন ফেডারেশন তাদের খেলোয়াড়দের নানাভাবে সাহায্য ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। একটি ভাল প্র্যাকটিস ভেন্যু তৈরির পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। অচিরেই খেলোয়াড়দের যাতায়াত এবং ফেডারেশনের কাজের গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের নিয়মিত বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থাও করতে যাচ্ছে ফেডারেশন।
×